× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চাঁদা না দেয়ায় থানায় ব্যবসায়ীকে নির্যাতন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার

২১ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় মেসার্স উদয় ব্রিক ফিল্ড ব্যবসায়ী মো. মোজ্জামেল হোসেন রাসেলকে থানায় ডেকে এনে নির্মমভাবে নির্যাতন, ক্রস-ফায়ার ও হত্যার হুমকি অভিযোগে ওসির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেনবাগ পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। এ নিয়ে ওসির অপসারণ ও শাস্তির  দাবিতে ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী। গতকাল ২৩শে জানুয়ারি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জ্যোতি খিসা থানা হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ সিসি ক্যামরায় ফুটেজ তদন্ত করছেন বলে মানবজমিনকে জানান। এলাকাবাসী জানায়, নোয়াখালীর সেনবাগে থানায় ডেকে নিয়ে উপজেলা যুবলীগ নেতা রাসেলকে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগে সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করলেন পৌর মেয়র আবু জাফর টিপু। সেনবাগ পৌর সভার কার্যালয়ে এ সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পৌর মেয়র আবু জাফর টিপু লিখিত বক্তব্যে বলেন, সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান গত ১৯শে জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা মোজ্জামেল হোসেন রাসেলকে থানায় ডেকে নিয়ে তার রুমে নির্মমভাবে নির্যাতনের বর্ণনা দেন। নোয়াখালী সেনবাগ পৌরসভার বাবুপুর ৯নং ওয়ার্ডের আবদুল মান্নান কালা মিয়ার ছোট ছেলে রাসেল, তার বড় ভাই এজিএস আবদুল মতিন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা, মেঝো ভাই আবুল কালাম আজাদ আবু ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর, এবং আরেক ভাই সেনবাগ সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাবেক এজিএস জহিরুল আলম জহির। নির্যাতিত রাসেলের বড় ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী এজিএস আবদুল মতিন জানান, রাসেলকে ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার দিন ১৯শে জানুয়ারি দুপুরে থানায় যেতে বলেন এবং একা যেতে বলেন।
সেখানে যাওয়ার পর ওসির রুমে দরজা বন্ধ করে রোল দিয়ে নির্মমভাবে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। রাসেল চিৎকার করলে তার মুখে টিস্যু ঢুকিয়ে দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এক পর্যায়ে ওসি গুলি করার হুমকি দেয়। তিনি আরো জানান, ঘটনার দিন বিকেল ৩টার দিকে রাসেলকে ছেড়ে দেয়ার সময় ওসি শর্ত দেয় কাউকে এ নির্যাতনের কথা বললে তোকে ক্রসফায়ারে দিবো। এ বিষয়ে রাসেল নোয়াখালী পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহাম্মদ চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. গোলাম কবির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়াম সুলতানা, সাবেক ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র নুরুজ্জামান চৌধুরীসহ সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর