× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মোবাইল ফোনে প্রেমের করুণ পরিণতি

বাংলারজমিন

প্রতীক ওমর, বগুড়া থেকে
২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার

 লিমা একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। বিয়ের পর সংসার হয়। গর্ভে একটি সন্তানও জন্ম দিয়েছেন। পরে স্বামী তাকে ছেড়ে দেয়। মাস খানেক আগে লিমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় হবিবর রহমান নামের এক ব্যক্তির। কথার পর সরাসরি সাক্ষাতের আয়োজন হয় দুজনের। লিমা গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা থেকে প্রেমিক হবিবরের সঙ্গে বগুড়ার সোনাতলায় দেখা করতে আসেন গত ১৭ই জানুয়ারি। সাক্ষাতের পর প্রেমিকের চোখে ধরা পড়ে প্রেমিকা শারীরিক প্রতিবন্ধী।
ফলে প্রেমিক হবিবর, লিমাকে ছেড়ে চলে যেতে চায়। বিয়ে অথবা সম্পর্ক কোনটাই রাখতে রাজি হয় না। এমন পরিস্থিতিতে লিমা তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। এক সময় লিমা গাইবান্ধার সাঘাটা থেকে প্রেমিক হবিবরের বাড়ি বগুড়ার সোনাতলায় তার গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। সেখানে লিমা দেখেন তার ঘরে আরো দুই বউ। বিয়ের চাপ দিলে ঘরের দুই বউ হবিবরকে তৃতীয় বিয়েতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এক পর্যায়ে ওই রাতেই লিমাকে খুন করে লাশ গোপন করে হবিবর। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য আদালতের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে হবিবর। বুধবার বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মোমিনের আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন। হাবিবরের স্ত্রী শহিদা বেগম রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। ফলে বগুড়ার সোনাতলার ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত মহিলার লাশের পরিচয় এবং হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাতলা থানার পুলিশের উপ পরিদর্শক জব্বার আলী মানবজমিনকে জানান, ১৮ তারিখে অজ্ঞাত হিসেবে জয়তারার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের ভাই দুলু ব্যাপারী জয়তারাকে সনাক্ত করে। এরপর ১৯শে জানুয়ারি তিনি সোনাতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর খুনিদের শনাক্ত করতে মাঠে নামে পুলিশ। জয়তারার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরের সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার রাতে সোনাতলা থেকে হবিবর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর