× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভার্মি কম্পোস্ট সার

বাংলারজমিন

আনোয়ারুল হক নিজামী, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে
২৫ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার

 মীরসরাইয়ে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে কেঁচো থেকে উৎপাদন হওয়া ভার্মি কম্পোস্ট সার। কম দাম ও বেশি কার্যকারিতার পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী হওয়ায় জন্যই এই সার ব্যবহার আগ্রহী হচ্ছেন অনেক কৃষক। কেঁচো, হাঁস মুরগির বিষ্ঠা, গবাদিপশুর গোবর ও রান্নার শাক-সবজির উচ্ছিষ্ট খোসা, কচুরিপানার মিশ্রণে প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদন করা হয় কেঁচো সার, যা ‘ভার্মি কম্পোস্ট সার’।
জানা গেছে মীরসরাই উপজেলায় ভার্মি সার তৈরিতে সহযোগিতা করছে উন্নয়ন সংস্থা অপকা। উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নের ৭০টি কৃষক পরিবারকে থাইল্যান্ডের এক পোয়া অর্থাৎ ৭শ’টি কেঁচো দেয়া হয়েছে। এছাড়াও একটি করে সিমেন্টের গাবলায় ও টিন দেয়া হয় অপকা থেকে। পরে কৃষকদের ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পচনশীল দ্রব্য দিয়ে তৈরি ভার্মি সার ব্যবহারে জমির গুণগত মান ঠিক থাকে।
উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ঘেরামারা গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই জানান, একটি গাবলায় ৫০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি করা যায়।
সার তৈরিতে প্রয়োজন হয় কেঁচো, পচা গোবর, হাঁস মুরগির বিষ্ঠা তরকারির খোসা ও কচুরিপানা। তবে সব উপকরণ না পেলেও কেঁচো ও পচা গোবর দিয়ে এই সার তৈরি করা যায়।
একই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছত্তরুয়া গ্রামরে কৃষাণী বিবি হাজেরা জানান, ৫০ কেজি সার উৎপাদন করতে সময় লাগবে এক মাস। ৫০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট সার ৩০ শতক জমিতে ব্যবহার করা যায়। ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরিতে তেমন খরচ হয় না হওয়ায় কৃষকেরা ও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
একই গ্রামের কৃষাণী শামসুর নাহার জানান, ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারের ফলে ফলন বেড়েছে। তাছাড়া নিজেই উৎপাদন করি বলে খরচও কমে গেছে। আর কেঁচো সারের পাশাপাশি কেঁচো বিক্রি করে বাড়তি আয় হচ্ছে। এতে সংসারের ছোটখাটো চাহিদাও মেটাতে পারছি।
অপকার উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন জানান, আমরা প্রাথমিক ভাবে অপকা থেকে ৭০ জনকে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরিতে সহযোগিতা করছি। কিন্তু এখন বর্তমানে নিজ উদ্যোগে আরো ২০ জনসহ প্রায় ৯০ জন ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি করছেন। এখানে কৃষকেরা প্রতি কেজি ভার্মি কম্পোস্ট সার ২০ টাকার করে বিক্রি করে থাকে। আর কেউ পাইকারি নিলে প্রতি কেজি পড়ে ১৫ টাকা করে।
সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, রাসায়নিক সার ব্যবহারে জমির উর্বরতা দিন দিন কমে যায়। আর রাসায়নিক সারের তুলনায় ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রয়োগে জমির ফলন আরো ভালো হয়। ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারে জমির গুণগত মানের কোনো ক্ষতি হয় না। জমির গুণগত মান ঠিক থাকে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর