× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তুলা চাষে স্বপ্ন বুনছেন ইসলাম

বাংলারজমিন

সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) থেকে
২৫ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার

 কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা মুনিয়ারীকান্দা ব্রহ্মপুত্র নদের চরে বাণিজ্যিকভাবে তুলা চাষ করা হয়েছে। উপজেলার চরকাওনা মুনিয়ারীকান্দা গ্রামের ইসলাম উদ্দিন নামের এক চাষি ২০ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছেন। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় গত ১১ বছর ধরে তিনি প্রতিবছর তুলা চাষ করছেন। গত বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে লোকসান গুনছিলেন তিনি। কিন্তু এ বছর প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তুলার ভালো ফলন হয়েছে। তাই এবার লাভের আশা করছেন ইসলাম উদ্দিন।  তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় প্রায় ২০ বিঘা জমিতে কার্পাস জাতের তুলা চাষ করেছেন ইসলাম উদ্দিন। গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে তুলা চাষ শুরু করেন। তুলা গাছে ফলন পেতে সময় লাগে ছয় থেকে সাত মাস।
এতে চারা রোপণসহ আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ তার খরচ হয়ে প্রায় ৪ লাখ টাকা। শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় ফলনে কিছুটা সমস্যা দেখা দিলেও এবার তুলার বেশ ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি ১২-১৩ মণ করে তুলা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।  
সরজমিন উপজেলার চরকাওনা মুনিয়ারী এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের বিস্তীর্ণ চরের ওই তুলা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল জমিজুড়ে ফুটে আছে সাদা ধবধবে রাশি রাশি তুলা। বাতাসে যেন দুলছে আর দুলছে। আড়াই থেকে তিন ফুট লম্বা তুলা গাছে সাদা ধবধবে তুলা ফুটে আছে। এ যেন সাদা ধবধবে ফুলের বাগান। হালকা ছোঁয়াতেই সেগুলো তুলে বস্তায় ভরছেন পাঁচজন নারী শ্রমিক। মিনিট দশেক এর মধ্যেই একটি বস্তা ভরে এক জায়গায় জড়ো করছেন। এভাবে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ওই নারী শ্রমিকেরা তুলা উত্তোলন করছেন। মাস খানেক এই তুলা বাগানে তুলা উত্তোলনের কাজ করবেন তারা। পর্যায়ক্রমে এসব তুলা কুষ্টিয়ায় পাঠানো হবে বলে জানা যায়।
তুলাচাষি মো. ইসলাম উদ্দিন জানান, এ বছর ২০ বিঘা জমিতে তুলার চাষ করেছেন। এতে তার প্রায় ৪ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলন কিছুটা কম হলেও  ২শ’ থেকে আড়াইশ’ মণ তুলা পাবেন বলে তিনি ধারণা করছেন। তুলা উন্নয়ন বোর্ড নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় করে এতে তিনি লাভের আশা করছেন।
এ ব্যাপারে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকা জোনের পাকুন্দিয়া ইউনিটের দায়িত্বে থাকা কটন অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, তুলা চাষে ইসলাম উদ্দিনকে পর্যাপ্ত সহায়তা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ বছর তুলার ফলন ভালো হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে তুলার মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। গত বছর মণ প্রতি ২৫০০ টাকা ছিল। এবারও তাই ঠিক থাকবে বলে তিনি জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর