সিলেটে বন্ধুদের (চালক) হাতেই খুন হয়েছে ট্রাক চালক জাহাঙ্গীর ও হেলপার রাজু। পূর্বশত্রুতার জের ধরে গলায় রশি পেঁচিয়ে খুন করা হয় দু’জনকে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া তিন ঘাতক খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে। এ কারণে জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য তাদের সিলেট আদালতে হাজির করা হয়। সন্ধ্যায় আদালতে তারা খুনের ঘটনা স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত ইব্রাহিম মিয়া তালুকদার সিলেট সদরের মুড়ারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। তার সহযোগী হচ্ছে- বিশ্বনাথের শ্বাসরাম এলাকার বাসিন্দা ফজর মিয়া ও মাধবপুরের উত্তর বেজুড়া এলাকার বাসিন্দা জয়নাল মিয়া। সিলেটের পুলিশ জানায়, তাদের হাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার বাগদী গ্রামের কাদের মিয়ার ছেলে ট্রাক চালক জাহাঙ্গীর ও একই গ্রামের মৃত দীন মোহাম্মদের ছেলে হেল্পার রাজু খুন হয়।
গত শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টায় খবর পেয়ে লালমাটিয়া এলাকায় ট্রাকের ভেতর থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে মোগলাবাজার থানা পুলিশ। এরা দু’জনই ট্রাক শ্রমিক। মরদেহ উদ্ধারের সময় ট্রাকটির সবগুলো চাকা খোলা ছিল। এছাড়া মরদেহের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ট্রাকটির (ঢাকা মেট্রো ট-১৮-৪০৩০) মালিক চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার আইলদীপ গ্রামের মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের ছেলে আতাউর রহমান। নিহত চালক ও তার সহকারী বৃহস্পতিবার গাজীপুর জয়দেবপুর ধান গবেষণা কেন্দ্র হতে সিলেট নগরীর লামাবাজারের উদ্দেশে রওয়ানা করেন। এরপর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় তাদের লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে। পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় নিহত হেল্পার রাজুর ভাই সুজন আহমদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়- গাজীপুর থেকে সিলেট আসার পথে যেকোনো সময় জাহাঙ্গীর ও হেল্পার রাজুকে খুন করা হয়। এরপর তারা ট্রাকের টায়ার মাধবপুরে বিক্রি করে ফেলে। মোবাইল ফোনও দক্ষিণ সুরমায় বিক্রি করা হয়। তারা ময়লায় লাশ ফেলে দিতে সিলেটের পারাইরচকের ডাম্পিং এলাকায় ট্রাকে লাশ নিয়ে অপেক্ষা করছিল। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা চলে যায়। নিহত জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ঘাতক ইব্রাহিমের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই জোড়াখুনের ঘটনা ঘটেছে।