× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চমক দিতে চান ডেইজি

এক্সক্লুসিভ

মরিয়ম চম্পা
২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন আলেয়া সারোয়ার ডেইজি। বর্তমানে তিনি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর। মোহাম্মদপুর থানার অন্তর্ভুক্ত এই ওয়ার্ডের ভোটার ৩৩ হাজারেরও বেশি। ইতিমধ্যে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ডেইজির নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যতিক্রমধর্মী র‌্যাপ গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ বিষয়ে আলেয়া সারোয়ার ডেইজি বলেন, আমি সবসময় চমক দিতে পছন্দ করি। ‘আই ওয়ান্ট টু প্রুভ’। আমি প্রমাণ করতে চাই যে, জনগণের জন্য জনপ্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধির জন্য জনগণ না। এ কথাটি আমি গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণের কাছে তুলে ধরতে চাই।


জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের মাঝে যেন থাকি। জনপ্রতিনিধি জনগণের মাঝে থাকবে। এটাই নিয়ম। স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া র‌্যাপ গান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে একজন শিল্পী। আমরা সব ভাই-বোন শিল্পী। সেই জায়গা থেকে আমি বুঝতে পারি কে কি পছন্দ করে। এই বিষয়টি আমার মাথায় ছিল। সবচেয়ে বড় কথা আমার ফোকাস হচ্ছে নতুন প্রজন্ম। সবাই কিন্তু গান করে। আমরা এক্ষেত্রে গানের কথাগুলো শুধু বসিয়ে দেই। সুরের কোনো পরিবর্তন হয় না। আগের মতই থাকে। আমি চিন্তা করলাম অন্যদের মত আমরা নকল না করে বিশেষ কিছু করা যায় কি না। যদি একটি র‌্যাপ গান করি। গানের কথাগুলো যদি ম্যাসেজ আকারে মানুষকে পৌঁছাতে পারি সেটা খুব ভালো লাগবে হয়তো। এক্ষেত্রে প্রথমে ভেবেছিলাম আমি নিজেই গানটি গাইবো। গানের কথাগুলো লিখেছি আমি আর আমার ভাই। পরবর্তীতে আমার ভাইকে বললাম একটি র‌্যাপ গান করতে চাই। পরিকল্পনাটা ছিল আমার। কিন্তু ভাই বললো আমাদের দেশে কি র‌্যাপ গানের শিল্পী আছে। এটা কেমন হবে। ভালো হবে কি? তখন আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলি আগে গানটি করি আশা করি সবাই খুব ভালোভাবে নিবে।

প্রার্থী হিসেবে নিজেই যদি নিজের গান করি সেটা হয়তো ভোটাররা ভালো ভাবে না ও নিতে পারেন। তাই শেষ পর্যন্ত আমি গাইনি। একজন শিল্পীকে দিয়ে গাওয়ানো হয়েছে। গানটির ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে সবাই বলেছে ভালো হয়েছে। সংরক্ষিত আসনে নারী কাউন্সিলর ছিলাম। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্যানেল মেয়র নির্বাচিত করেন। সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মত আমাদের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের ওভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে না। ডেঙ্গু মশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে আমার ফ্লাইটে দেরি হচ্ছিল। মশা দমনে উচু স্থানে মশার ওষুধ দেয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তখন আমি ব্যতিক্রমভাবে মশার ওষুধ ছিটানোর চেষ্টা করি। যেটা দেখতে ছিল অনেকটা কামানের মত। পরবর্তীতে সেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়। আমি ভাইরাল হওয়ার জন্য নয় কাজ করার জন্যই সেটা করেছিলাম। আমার ব্যতিক্রমধর্মী র‌্যাপ গানটি শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পরেছে। এটা আমি উপভোগ করছি। কারণ আমি খারাপ বা অযৌক্তিক কিছু করিনি। প্রকৃতপক্ষে আমি ভাইরাল হতে চাই না। আমি না চাইলেও প্রতি বছর কেন জানি আপনা আপনি চমক বা ভাইরাল কিছু একটা হয়ে যায়। গানের শুরুটা এমন-ডেইজি আপার সালাম দিন/লাটিম মার্কায় ভোট দিন/৩১ নাম্বার ওয়ার্ড নিয়ে/আপার কিছু কথা/প্রভাবশালীর প্রভাবে/জনগণের মনে ব্যাথা/সন্ত্রাসবাদের আনাগোনা/এলাকায় মাদকের আকড়া/এলাকায় নেই নাগরিক সুবিধা/..https://mzamin.com/
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর