নওগাঁর পোরশার হাঁপানিয়া দুয়ারপাল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশি রনজিত কুমার ও কামাল হোসেনের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। শনিবার রাত ৯টার দিকে হাপানিয়া সীমান্তের ২৩১ নং মেইন পিলারের নিকট নোম্যান্সল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিজিবি ও বিএসএফের কমান্ডিং পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ দু’টি ফেরত দেয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে নওগাঁ ১৬ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল মো. আরিফুল হক ও ভারতের পক্ষে ১৫৯ বিএসএফের কমান্ডার হার্ষা জসি নেতৃত্ব দেন।
নওগাঁ ১৬ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল মো. আরিফুল ইসলাম বিএসএফের উদ্বৃতি দিয়ে জানান, ঘটনার জানার পর বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহবান জানিয়ে পত্র দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী পতাকা বৈঠকে চলে। এ সময় বিএসএফ জোয়ানদের গুলিতে তিন ব্যাংলাদেশী নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন।
এদিকে বিজিবির পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই আহবান জানানো হয়। এ সময় ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী রনজিত কুমার ও কামাল হোসেনের লাশ আইনী প্রক্রিয়া শেষে বিএসএফ ফেরত দিয়েছে।
বর্তমানে লাশ দু’টি পোরশা থানা হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি শাহিনুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোরে সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০(এস) মেইন পিলারের নীলমারী বীল এলাকায় বিএসএফ জোয়ানরা গরু ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পোরশা উপজেলার বিষ্ণপুর বিজলীপাড়ার শুভ্র কুমারের ছেলে রজনিত কুমার (২৫), দিঘীপাড়া গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৫) এবং কাঁটাপুকুরের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন (৩২) নিহত হন। এদের মধ্যে মফিজুল ইসলামের লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ২০০ গজের মধ্যে এবং অপর দু’জনের লাশ ভারতের অভ্যন্তরে ৮০০ গজের মধ্যে পড়ে ছিলো বলে স্থানীয়রা জানায়।