× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্মৃতি হচ্ছে ১৩৯ বছরের পুরনো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লাল বিল্ডিং

বাংলারজমিন

জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৭ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার

স্মৃতি হতে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুরাতন কোর্ট বিল্ডিং। ভাঙনের অপেক্ষায় এখন কালের এই সাক্ষী। বর্তমান পৌর ভবনের পাশেই ১৮৮১ সালে এই বিল্ডিং নির্মিত হয়। অবশ্য এই বিল্ডিং নির্মিত হওয়ার আরো কয়েক বছর পর গঠিত হয় পৌরসভা। আদালত ছাড়াও এটি ছিলো প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র। একই বিল্ডিংয়ে চলতো কোর্ট আর প্রশাসনের কর্মকাণ্ড। আর সেকারণে এই বিল্ডিংকে কেন্দ্র করে শহরের মূল জায়গা হয়ে উঠে এটি। কোর্ট রোড এবং কাচারি পুকুর পাড় নামকরণ হয় এই বিল্ডিংকে কেন্দ্র করে।
নানাসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে এই বিল্ডিংয়েই মহকুমা প্রশাসকরা বসতেন। জেলা হওয়ার পর জেলা প্রশাসকও বসতেন এখানেই। সর্বশেষ মহকুমা প্রশাসক ছিলেন হারুনুর রশিদ। জেলা হওয়ার পর প্রথম জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন দায়িত্ব নিয়ে ১৯৮৪ সালে এই বিল্ডিংয়েই জেলা প্রশাসনের কাজকর্ম শুরু করেন। তার আগে শেষ মহকুমা প্রশাসক হিসেবে এখান থেকে বিদেয় নেন হারুনুর রশিদ। তিনি পরে সদর থানার নির্বাহী কর্মকর্তা হন। পাশাপাশি বিভিন্ন আদালতও বসতো এই বিল্ডিংয়ে। এজলাস এবং বিচারকদের খাস কামরা ছিলো বিভিন্ন কক্ষে। আদালত ও প্রশাসনে নানা কাজে আসা মানুষের ভিড় লেগে থাকতো এখানে দিনরাত। একারণে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও কেন্দ্র হয়ে উঠে এই জায়গাটি। ১৯৯১ সালের দিকে শহরের কাউতলী এলাকায় স্থানান্তরিত হয় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন আদালতও স্থানান্তরিত হয় ওই এলাকাতে। এরপরও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে থাকে ১৩৯ বছরের পুরনো কোর্ট বিল্ডিং। লাল রংয়ের হওয়ায় এটি লাল বিল্ডিং নামেও পরিচিত হয়ে উঠে। অবশ্য প্রশাসন এবং আদালত স্থানান্তরিত হওয়ার পর নীরব-নিস্তব্ধ হয়ে যায় একসময় মানুষের পদচারণায় সরগরম থাকা এই বিল্ডিং। ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এর কয়েক বছর পর পরিত্যক্ত এই কোর্ট বিল্ডিংয়ের কয়েকটি কক্ষে নানা সংগঠন তাদের অফিস খুলে বসে। এরমধ্যে সরকারি কর্মচারী সংগঠনের একাধিক অফিস রয়েছে। রোববার সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে- ওইসব অফিস ঘিরে সংশ্লিষ্ট লোকজনের পদচারণা রয়েছে বিল্ডিংটিতে। পূর্ব-পশ্চিম এবং উত্তর-দক্ষিণে লম্বালম্বিভাবে নির্মিত এই কোর্ট বিল্ডিং। দক্ষিণ পাশের বারান্দা ও সামনের অংশ দখল করে রেখেছে নার্সারি ব্যবসায়ীরা। নানা স্মৃতির এই বিল্ডিংয়ের স্থানটি মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। বিল্ডিংটি ভাঙার পরই শুরু হবে মসজিদ নির্মাণ কাজ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর