গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আনিচুজ্জামান লুইসের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগের নামে কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিচার, টাকা ফেরত ও নিয়োগের দাবিতে ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দ্রুত সমাধান না করা হলে যে কোনো সময় বড় ধরণের সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজমুন নাহার জানান প্রতিবন্ধী শিশুর বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী ৮ জন শিক্ষক কর্মচারী নেয়ার নিয়ম থাকলেও সভাপতির মৌখিক নির্দেশে বর্তমানে ২৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। অনেকের বিধি অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও প্রতিজনকে নিয়োগ দেওয়ার নামে ৩ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন সভাপতি আনিচুজ্জামান লুইস। এছাড়া প্রতিদিনই মৌখিকভাবে নীতিমালা ভঙ্গ করে নতুন-নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে সভাপতি আনিচুজ্জামান লুইস কোটি টাকা বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দেয়া হয়েছে। সঠিক ভাবেই তদন্ত করার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে সভাপতি আনচিুজ্জামান লুইস জানান, সব কিছু নিয়মমতো করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার নামে কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করেন।