ধর্মপাশা উপজেলার গোলকপুর বাজারে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই নোংরা পরিবেশে একটি বেকারি কারখানায় খাবার উৎপাদন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ভোক্তা অধিকার আইন থাকলেও মা বেকারি নামে ওই প্রতিষ্ঠানটি তা মানছে না। সরেজমিন উপজেলার গোলকপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, একটি পরিত্যক্ত ঘরে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে বিস্কুট, টোস্ট, রুটি, কেকসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী। আর এসব খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর উপাদান, কাপড়ের রং, ক্যামিকেল, সোডা, মেয়াদোত্তীর্ণ ময়দা ও ময়লা মিশ্রিত চিনি। খাবার তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে নোংরা ময়লাযুক্ত অস্বাস্থ্যকর আসবাবপত্র। এ সময় খাদ্যসামগ্রী তৈরির আসবাবপত্র রক্ষিত ঘরে কয়েকটি কুকুর আসা যাওয়া করতে দেখা গেছে। ঘরের চালের নিচে মাকড়সার জাল ঝুলছে। মা বেকারীর মালিক টিপু সুলতানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভড করেননি।
তবে ওই বেকারীর কারিগর আবু তাহের জানান, বিভিন্ন রকমের রং ও ক্যামিকেল ছাড়া খাদ্যদ্রব্য সুন্দর হয় না এবং সোডা ব্যবহার ছাড়া খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা সম্ভব হয় না। নোংরা পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী তৈরি করার বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা বেতনভুক্ত কর্মচারী আমরা মালিকের নির্দেশে কাজ করছি। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাদ্যমান নিয়ন্ত্রণ তদারকির দায়িত্বে থাকা নিরাপদ খাদ্য নিয়ন্ত্রণ পরিদর্শক পিযুষ তালুকদার বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নোংরা পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন না করে ভোক্তা অধিকার ও নিরাপদ খাদ্য আইন মেনে এবং সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রিমিসেস লাইসেন্স নবায়ন করে খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করার জন্য ওই বেকারীর মালিক টিপু সুলতানকে আমি বার বার সতর্ক করেছি। কিন্তু কোন কর্ণপাত করেননি বেকারীর মালিক। এ ব্যাপারে (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আবু তালেব বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।