× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নবীনগর শিক্ষক সমিতির নির্বাচন জমজমাট লড়াই

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৭ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার

 জমে উঠেছে নবীনগর সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। সমিতির ৫১টি পদের জন্য ২টি প্যানেলে ১০২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মো. আবু কাউসার, মনির হোসেন ও বাবুল আহমেদ সরকার নেতৃত্বাধীন একটি প্যানেল এবং এটিএম রেজাউল করিম, মাহমুদ হাসান ও মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বে রয়েছে আরেকটি প্যানেল। ৩১শে জানুয়ারি এই নির্বাচনে উপজেলার ২১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩১২ জন শিক্ষক ভোট দেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে নির্বাচনের জমজমাট লড়াইয়ে এক সভাপতি প্রার্থী রয়েছেন আলোচনার শীর্ষে। নানা অভিযোগ মাথায় নিয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আলীয়াবাদ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এটিএম রেজাউল করিম। প্রতিদ্বন্দ্বিরা জানান, বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হয় কয়েক দফা। চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অন্যকোনো ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়ায় গত বছরের ৩০শে সেপ্টেম্বর তার লিখিত বক্তব্য জানতে চেয়ে পত্র দেন প্রাথমিক শিক্ষার চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সুলতান মিয়া।
ওই পত্র থেকে জানা যায়, ২০১১ সালে একটি মামলায় আদালত রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে রায় প্রদান করেন। এটি গোপন রাখা ছাড়াও কর্তব্য কাজে অবহেলা ও অনিয়ম এবং অসদাচরণের অভিযোগের সত্যতা থাকার উল্লেখ রয়েছে পত্রে। এরআগে ওইবছরের ২৪শে এপ্রিল আলীয়াবাদ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক শামসুল হক প্রধান শিক্ষক রেজাউলের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগে বলা হয় ২০১১ সালের ২রা মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জায়গা অবৈধভাবে দখল এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষয়ক্ষতির অপরাধে রেজাউল করিমকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালত জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সাজা দেন তাকে। ২০১৩ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি জামায়াত আহূত সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনে পিকেটিংয়ে যোগ দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি হন ওই শিক্ষক।
বিদ্যালয়ে নিজের দায়িত্ব ফেলে বিভিন্ন অফিসে গিয়ে তদবিরে ব্যস্ত থাকার অভিযোগও করা হয় তার বিরুদ্ধে। তাছাড়া জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণেও আলোচিত ওই শিক্ষক। জানা যায়, ১৯৮৮-৮৯ শিক্ষাবর্ষে নবীনগর সরকারি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের প্যানেল থেকে সাহিত্য সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। বিষয়টি জানিয়ে ভৈরবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফা আক্তার লাকী বলেন, সারা দেশে যেখানে জামায়াত নেই সেখানে নবীনগরে জামায়াত আছে। তাই আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছে থাকলেও নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তবে নির্বাচনে নবীনগর আওয়ামী লীগের একটি অংশ সমর্থন করছে রেজাউল করিমকে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও নবীনগর পৌরসভার মেয়র শিব শংকর দাসের ছবি ব্যবহার করে গত বিজয় দিবসে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেন রেজাউল। সেকারণে তাদের আশীর্বাদ নিয়ে রেজাউল নির্বাচন করছেন বলে কথা উঠেছে। তবে নবীনগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও পৌরসভার মেয়র এডভোকেট শিব শংকর দাস জানিয়েছেন তারা কাউকে সমর্থন করছেন না। এখানে দলের কোনো প্যানেল না থাকার উল্লেখ করে তিনি বলেন তবে দু’পক্ষেই আমাদের লোক আছে। রেজাউল একসময় শিবির করতো বলেও জানান তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিমের নাম্বারে ফোন করে তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে রেজাউল করিম বলেন, নির্বাচন আসলে কতো কথাই উঠে। তার সব মামলা ডিসমিস হয়েছে। বিভাগীয় চিঠির জবাবও দিয়েছেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি। জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি এড়িয়ে যান রেজাউল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর