× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট /৪০ দিনের যুদ্ধের জন্য সামরিক সরঞ্জামের মজুদ গড়ছে ভারত

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জানুয়ারি ২৭, ২০২০, সোমবার, ১২:২২ অপরাহ্ন

পাকিস্তান ও চীনের কথা মাথায় রেখে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের জন্য অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলছে ভারতের ১৩ লাখ সেনার সমন্বয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী। এখন ধীরে, তবে একই গতিতে এই কাজটি করা হচ্ছে। মজুদ করা হচ্ছে রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে উচ্চমানের ট্যাংক, আর্টিলারি শেল। এর উদ্দেশ্য একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ হলে যেন কমপক্ষে ১০ দিন স্বাচ্ছন্দ্যে যুদ্ধ চালিয়ে নেয়া যায়, তা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া আস্তে আস্তে অস্ত্রের এই মজুদ এমনভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে ৪০ দিন পর্যন্ত টিকে থাকা যায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ওই সূত্রগুলো বলেছেন, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন রকম সামরিক অস্ত্রশস্ত্র ‘১০(আই) লেভেলে’ উন্নত করা হবে। এর অর্থ হলো, পূর্ণাঙ্গ একটি যুদ্ধ হলে ২০২২-২০২৩ সালের মধ্যে ১০ দিনের জন্য পর্যাপ্ত অস্ত্রের মজুদ গড়ে তোলা।
অবশ্যই এর অর্থ এই নয় যে, সেনাবাহিনী এখনই যুদ্ধের জন্য প্রস্তত নয়। একটি সূত্র বলেছেন, অস্ত্রের এই মজুদ গড়ে তোলা হচ্ছে পশ্চিমাঞ্চলীয় ফ্রন্টে। কিন্তু পাকিস্তান ও চীন উভয়ের বিষয় মনে রেখে অস্ত্রের এই মজুদ গড়ে তুলতে হবে। আগে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ধরণের গোলাবারুদের ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে অধিক পরিমাণে সরবরাহের মাধ্যমে। ২৪টি কন্ট্রাক্টের অধীনে এসব সরবরাহ পাইপলাইনে রয়েছে। এসব চুক্তি হয়েছে বিদেশী ১৯টি অস্ত্র তৈরিকারক কোম্পানির সঙ্গে। এর অর্থমূল্য ১২ হাজার ৮৯০ কোটি রুপি।

একটি সূত্র বলেছেন, বড় কিছু কাজের পর পরবর্তী টার্গেট হবে ৪০(আই) লেভেলে পৌঁছা। তবে সব ধরনের গোলাবারুদের অতো বেশি পরিমাণ মজুদ গড়ে তোলার প্রয়োজন নেই। এমন বিপুল মজুদ অর্থনৈতিক ও যৌক্তিক কোন দিক দিয়েই উপযুক্ত নয়। বিদেশী প্রস্তুতকারকদের পাশাপাশি দেশের ভিতরে বেসরকারি অস্ত্র তৈরিকারকদের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়ায় রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বিদেশীদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে আটটি ভিন্ন রকমের ট্যাংক, আর্টিলারি ও পদাতিক বাহিনীর অস্ত্রশস্ত্রের চুক্তি করতে চায়। ২০২২-২৩ সাল থেকে এক দশকে এই কাজ বছরে ১৭০০ কোটি রুপির বিনিময়ে হবে।

এর আগে টাইমস অব ইন্ডিয়া বার বার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে, ভারতের সেনাবাহিনীর গোলাবারুদ দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। একই অবস্থা ট্যাংক, বিমান বাহিনীর প্রতিরক্ষা ইউনিটের, আর্টিলারি ব্যাটারিজের।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর