নবীগঞ্জে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে থানা ছাত্র দলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২ জনকে আটক করেছে। গতকাল দুপুরে পৌর এলাকার সালামপুরস্থ হাজারী কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। রায়েছ ও ছোহেল গ্রুপের সংঘর্ষে অনেক পথচারী আহত হয়। এ সময় ৭টি মোটরসাইকেল ও আসবাব পত্র এবং ১টি দোকান ভাঙচুর হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে থানার ওসি মো. আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ছাত্রদলের বিবদমান গ্রুপের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করেছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জের হিসেবে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষ এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে শহরতলীর ছালামতপুর হাজারী কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক আরিফ, বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামিল হোসেন ও রায়হান উদ্দিন। সভার শুরুতেই ছাত্রদল নেতা জহিরুল ইসলাম সোহেল গ্রুপের নেতাকর্মীরা আগে থেকেই মঞ্চের চেয়ার দখলে নেয়। পরে ছাত্রদল নেতা রায়েছ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার গ্রুপের নেতাকর্মী নিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে গিয়ে বসার জায়গা না পেয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু করে। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা অনুষ্ঠান মঞ্চে আসলে উত্তেজনা আরো বেগতিক হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে সেন্টারের ভিতরেই চেয়ার নিয়ে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা মারামারি শুরু করে। মুহূর্তেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শুরু হয় উভয় পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন- জুলন মিয়া (২৩), পাবেল মিয়া (২৭), শরীফুল ইসলাম জুনেদ (২৮), সাইফুর রহমান বাবু (২৩), পথচারী মুছন মিয়া (২৫) ও পথচারী মহিম উদ্দিন (৭২)। পুলিশ সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে শরীফ আহমেদ আবিদ ও জুয়েল মিয়া নামের ২ জনকে আটক করে। তাদের বাড়ি হবিগঞ্জ শহরে বলে জানাগেছে। ভাঙচুরকৃত ৭টি মটর সাইকেলও জব্দ করা হয়েছে। থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান বলেন, ছাত্রদলের কর্মী সভায় দুগ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বড় ধরনের সংঘাত এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।