× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কুতুববাগ পীরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, তোলপাড়

অনলাইন

বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) জানুয়ারি ২৮, ২০২০, মঙ্গলবার, ১২:৪১ অপরাহ্ন

কুতুববাগ দরবারের পীর জাকির শাহ’র বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি  পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) জারি করা হয়েছে। চেক জালিয়াতি মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে বন্দরের এক ব্যবসায়ীর দায়েরকৃত মামলায় নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ক-অঞ্চল) আদালত রোববার এ পরোয়ানা জারি করেন।   

পীর জাকির শাহ’র বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী শহরের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী মো. ফজর আলী। এদিকে পরোয়ানা জারির খবর ছড়িয়ে পড়ায় গত দুইদিন ধরে শহর ও বন্দর এলাকায় তোলপাড় চলছে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, পারস্পরিক সুসম্পর্কের সুবাদে এক সঙ্গে ব্যবসা করার লক্ষ্যে পীর জাকির শাহ ব্যবসায়ী মো. ফজর আলীকে ৮ কোটি টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ২০১৩ সালের ১১ই র্ফেরুয়ারি ব্যবসার উদ্দেশ্যে ৮  কোটি টাকা দেয়ার বিপরীতে ব্যবসায়ী মো. ফজর আলীর কাছ থেকে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা এবং ৬টি চেক গ্রহণ করেন জাকির শাহ। কিন্তু ব্যবসায়ী মো. ফজর আলী ৮ কোটি টাকার স্ট্যাম্প ও  চেক দিলেও তার বিপরীতে বিভিন্ন সময়ে পীর জাকির শাহ তাকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা প্রদান করে। পরবর্তীকালে পীর জাকির শাহ জানিয়ে দেন আর কোনো টাকা দিতে পারবেন না তিনি। এরপর ব্যবসায়ী ফজর আলী ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে দেন জাকির শাহকে।
ওই সময় স্ট্যাম্প ও ৩টি চেক পীর জাকির শাহ ফেরত দিলেও বাকি ৩টি চেক খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানিয়ে দেন ব্যবসায়ী ফজর আলীকে।

ওই সময়ে স্ট্যাম্পের পেছনে  চেক নম্বর উল্লেখ করে হারানো ৩টি চেক বাবদ কোনো দাবি-দাওয়া নেই মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করেন জাকির শাহ। পরবর্তীকালে খুঁজে পেলে ফেরত দেবেন বলে অঙ্গীকারও করেন তিনি। কিন্তু কিছুদিন পর ব্যবসায়ী ফজর আলী জানতে পারেন- ওই চেক হারানো যায়নি এবং এগুলো নিয়ে পীর জাকির শাহ টাকা দাবি করার ষড়যন্ত্র করে আসছেন।

২০১৯ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী ফজর আলী নিজ বাড়িতে দাওয়াত দেন পীর জাকির শাহ এবং সহযোগি ইসমাইল হোসেন বাবুকে। এ সময় চেক ফেরতের বিষয়ে কথা বললে পীর জাকির শাহ ও সহযোগি বাবু ৫ কোটি টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ক্ষতি হবে বলেও হুমকি দেন।

এ ঘটনায় চলতি বছরের ৭ই জানুয়ারি ব্যবসায়ী ফজর আলী বাদী হয়ে কুতুববাগ দরবারের পীর জাকির শাহ ও তার সহযোগি ইসমাইল হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ক অঞ্চল) আদালতে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। ২৬শে জানুয়ারি (রোববার) আদালত পীর জাকির শাহ’র বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

ভুক্তভোগী মামলার বাদী ব্যবসায়ী ফজর আলী জানান, একজন পীর হিসেবে আমি তাকে যথেষ্ট বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা করতাম। সরল বিশ্বাসে আমি কোনো টাকা না পেয়েই ৮ কোটি টাকার স্ট্যাম্প ও চেক ওনাকে দিয়েছি। পরে উনি ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা দিয়ে তিনি আর দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। তখন এই টাকায় ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্য সফল হবে না বলে টাকা ফেরত দিয়ে দেয়া হয়। তিনি আমাকে স্ট্যাম্প ও ৩ কোটি টাকার ৩টি চেক ফেরত দিয়ে বাকি ৫ কোটি টাকার ৩টি চেক খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানিয়ে দেন।  বন্দর এলাকায় অবস্থিত কুতুববাগ দরবারের পীর জাকির শাহ’র বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ায় গত দু’দিন ধরে শহর ও বন্দর এলাকাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর