× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে হাইকোর্টে দুই সমকামী

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জানুয়ারি ২৮, ২০২০, মঙ্গলবার, ১:১১ পূর্বাহ্ন

নিকেশ পিপি এবং সোনু এমএস। দুই যুবক। কিন্তু তারা এ পরিচয়ে পরিচিত হতে চান না। তারা একজন স্বামী। অন্যজন স্ত্রী। অর্থাৎ তারা সমকামী। এমন পরিচয়ে তারা গত সেপ্টেম্বরে এক প্রাইভেট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু ধর্ম বা মন্দির কর্তৃপক্ষ তাদের এই বিয়েকে বৈধতা দিতে নারাজ।
তাই তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। স্পেশাল ম্যারিজ অ্যাক্টের অধীনে রেজিস্ট্রি করাতে চান এই বিয়ে। এ জন্য কেরালা হাইকোর্টে তাদের আবেদনের শুনানি হয়েছে সোমবার।

বর্তমানে প্রচলিত স্পেশাল ম্যারিজ অ্যাক্টে একজন নারী ও একজন পুরুষের মধ্যেই বিয়েকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। তারা আইনের এই ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণার জন্য এডভোকেট জর্জ ভারগিস পেরুমপাল্লিকুত্তিয়িলের মাধ্যমে আদালতে আবেদন করেছেন। যার নম্বর ডব্লিউপি-সি নং ২১৮৬/২০২০। তাদের এ আবেদনে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কি তা জানতে চেয়েছেন কেরালা হাইকোর্টের বিচারপতি অনু শিবরাম। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
 
এতে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে বিয়ে করলেও তাদের সম্পর্ককে কেউই মেনে নিতে পারছিলেন না। তাই তারা স্পেশাল ম্যারিজ অ্যাক্টের অধীনে এই বিয়েকে নিবন্ধিত করাতে চান। তাদের আবেদনে বলা হয়েছে, আবেদনকারীরা দেশের ধর্মনিরপেক্ষ আইনের দিকে এবং সংবিধানের দিকে দৃষ্টি দিয়ে বলছেন, তারা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তাদের দৃষ্টিতে ১৯৫৪ সালের স্পেশাল ম্যারিজ অ্যাক্ট ও এর কিছু ধারা বৈষম্যমূলক। কারণ, এতে শুধু বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মধ্যে বিয়েকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

তারা বলেছেন, এই আইনের ৪ নম্বর ধারায় বিয়েকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে শুধু একজন পুরুষ ও একজন নারীর মধ্যে সম্পর্ককে অথবা একজন বর ও কনের মধ্যকার সম্পর্ককে। কিন্তু এতে সমকামীদের বিয়ের বৈধতার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কে উদ্ধৃত করেছেন আবেদনকারীরা। ওই রায়ে কোনো ব্যক্তিকে তার লিঙ্গগত পরিচয়ের অধিকার ও তার পরিচয় কি হবে সে বিষয়ে তাকে বেছে নেয়ার স্বাধীনতা বা স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

আবেদনকারীরা আরো বলেছেন, তারা মারাত্মক অবমাননার মুখোমুখি হচ্ছেন। তারা একে অন্যের প্রেমে পড়েছেন একথা প্রকাশ করার পর থেকেই তারা এমন আচরণের শিকারে পরিণত হচ্ছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর