বলিউডের কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন ৩৩ বছর বয়সী এক যুবতী। তিনি বলেছেন, মুম্বইয়ে তার অফিসে গেলেই গণেশ তাকে পর্নো ভিডিও দেখতে বাধ্য করতেন। তিনি লিখিতভাবে ভারতের নারী বিষয়ক জাতীয় কমিশনে (ন্যাশনাল কমিশন ফর ওমেন-এনসিডব্লিউ) জানিয়েছেন এই অভিযোগ। পাশাপাশি অভিযোগ করেছেন পুলিশ স্টেশনেও। মঙ্গলবার একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, গণেশ আচার্য্য ছাড়াও অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে জয়শ্রী কেলকার এবং প্রীতি ল্যাডের বিরুদ্ধে। ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
এতে বলা হয়, ওই যুবতী তার অভিযোগ আমবোলি পুলিশ স্টেশনে দাখিল করেছেন। তিনি বলেছেন, গণেশের একজন সহকারী কোরিওগ্রাফার ছিলেন তিনি।
রোববার মুম্বইয়ের আধেরিতে অনুষ্ঠিত হয় ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন কোরিওগ্রাফারস এসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠান। এর একজন সদস্যা ওই যুবতী। তার অভিযোগ, ওই অনুষ্ঠানে গণেশ ও অন্য দুই নারী তাকে মানহানি ও প্রহার করেন। চলচ্চিত্র শিল্পে করা কাজ থেকে একটি নির্ধারিত কমিশন দাবি করেছিলেন গণেশ।
এ বিষয়ে গণেশের প্রতিক্রিয়া নিতে পিটিআইয়ের সাংবাদিক তাকে ফোন করেন। কিন্তু কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি তার পক্ষ থেকে। এনসিডব্লিউতে দেয়া চিঠিতে ওই যুবতী অভিযোগ করেছেন, যখনই তিনি গণেশের অফিসে যেতেন তখনই তাকে পর্নো ভিডিও দেখতে বাধ্য করতেন গণেশ।
ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন কোরিওগ্রাফারস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গণেশ আচার্য্য। অভিযোগ উদ্ধৃত করে পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, আধেরির অফিসে ঘন ঘন ফোন করে গণেশ ডেকে নিতেন অভিযোগকারী যুবতীকে। ২৬শে জানুয়ারি ওই যুবতী উপস্থিত হন ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন কোরিওগ্রাফারস এসোসিয়েশনের অফিসে। এ সময় তার সঙ্গে ভীষণ চিৎকার চেঁচামেচি করেন গণেশ। ঘোষণা দেন, তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে।
এ সময় ওই যুবতী তাকে স্মরণ করিয়ে দেন, তিনিও ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন কোরিওগ্রাফারস এসোসিয়েশনের একজন সদস্যা। এ কথা বলার পর অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন গণেশ। ফলে তিনি তার টিমের সদস্য জয়শ্রী কেলকারকে নির্দেশ দেন তার মুখে থাপ্পড় মারতে। অভিযোগকারী যুবতীর ভাষায়, কেলকার ও প্রীতি ল্যাড প্রকাশ্যে আমাকে আঘাত করে। এ দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়ে আছে। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।