× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিবির সন্দেহে এবার চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে নির্যাতন

শিক্ষাঙ্গন

অনলাইন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জানুয়ারি ২৮, ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:৩৮ পূর্বাহ্ন

শিবির সন্দেহে পিটিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চার ছাত্রকে নির্মম নির্যাতনের পর এবার একই কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রামে আদনান নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে নির্যাতন করেছে ছাত্রলীগ। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্বববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) ওই ছাত্রকে শিবির সন্দেহে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী কুরআনিক সাইন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্যাতিত ছাত্র জানান, সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওসমান (রা) হলে রড, লাঠি, স্ট্যাম্প ও বেল্ট দিয়ে শিবির সন্দেহে তাকে কয়েক দফায় বেধড়ক পেটানো হয়। এতে অংশ নেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত আইন বিভাগের ছাত্র উ চো মারমা, রবিউল ইসলাম রনি, শফিউল ইসলাম, অনিক ও মৃদুল।

আদনান বলেন, সোমবার রাতে আমাকে আমার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় আরেকটি কক্ষে। সেখানে গিয়ে দেখি ছয়-সাতজন ছাত্রলীগের কয়েকজন সিনিয়র আছেন। তারা প্রথমে আমার মোবাইল কেড়ে নেন।
এরপর ছাত্র শিবির বিষয়ে আমাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন। তারা জোর করে আমাকে দিয়ে শিবির করি এটা বলাতে চান। তা না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে অন্তত পাঁচ দফায় মারধর করেন। আমার বন্ধুরা এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে খবর দেয়। প্রশাসন আমাকে ফোন দিলে মারধরকারীরা হুমকি দিয়ে বলেন সব স্বাভাবিক আছে এটা বলতে। না হলে আবার নির্যাতনের হুমকি দনে। আমিও সেভাবে প্রশাসনকে বলি। এরপর খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, ওই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে আইআইইউসি শাখা ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম ডলারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর কাউসার আহমেদও ফোন ধরেননি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর