× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আল্লামা আনোয়ার শাহ আর নেই

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
(৪ বছর আগে) জানুয়ারি ২৯, ২০২০, বুধবার, ৭:১৬ পূর্বাহ্ন

দেশের প্রখ্যাত আলেম শিক্ষাবিদ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের খতিব আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ (৭৩) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। বুধবার বিকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে মঙ্গলবার ভোর থেকে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। ভেন্টিলেশনে কৃত্রিম উপায়ে বাইরে থেকে মেশিনের সাহায্যে তাঁর শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখার চেষ্টা করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকা এ আলেমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত শুক্রবার (২৫শে জানুয়ারি) তাঁকে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার আরো অবনতি হলে তাঁকে ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউ’তে নেয়া হয়। ডা. তাহসিন সালামের তত্বাবধানে থাকা আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ এর শারীরিক অবস্থা মঙ্গলবার ভোর রাতে সংকটাপন্ন অবস্থায় উপনীত হলে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।

আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ অথরিটি আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের সদস্য, বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ‘বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া’র (বেফাক) সহ-সভাপতি এবং আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ-এর মহাপরিচালক।

এর আগে আল্লামা আযহার আলী শাহ এর শারীরিক অবস্থার ঘটলে গত ১০ই অক্টোবর তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে পাঠানো হয়।
ব্যাংককের ফাইয়া থাই নওয়ামী ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে গত ১৪ই ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরেন। দেশে ফেরার পর হঠাৎ করেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার (২৫শে জানুয়ারি) তাঁকে রাজধানীর ধানমন্ডির শঙ্করে অবস্থিত ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের খতিব আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ দীর্ঘদিন সিলেটের হজরত শাহজালাল দর্গা মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় ইস্যুতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর চমৎকার তিলাওয়াত, শুদ্ধ বাংলা ও সাবলীল আলোচনায় মুগ্ধ হয়েছেন দেশের কোটি তৌহিদী জনতা। দেশে-বিদেশে তাঁর অসংখ্য ছাত্র ও ভক্ত রয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যু সংবাদ কিশোরগঞ্জে পৌঁছার পর সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর