আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যকে পরাজিত করে একধরনের আনন্দ পাওয়ার মনোভাব শেখাচ্ছি। জিপিএ ৫ পাওয়া এবং এক ধরনের অনভিপ্রেত প্রতিযোগীতার মাধ্যমে শিশুরা গড়ে উঠছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষার্থীদেরকে এ ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগীতা থেকে বের করে আনতে হবে। এমনটাই বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি আরো বলেন, মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কারিকুলম পরিবর্তন করা হচ্ছে।
আজ বিকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ন্যাশনাল ওয়ার্কশপ অন লার্নিং ফর ইমপ্যাথি বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলে ডা. দীপু মনি। তিনি আরো বলেন, পরিবর্তিত কারিকুলামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সব কিছুর পরও ভাল মানুষ হয়ে উঠবে। তবে কারিকুলাম যতই ভাল হোক না কেন শিক্ষকের মান ঠিক না থাকলে এর উদ্যেশ্য বাস্তবায়ন হবে না। শিক্ষকতা পেশাকে আর ও আকর্ষণীয় করা হবে।
শিক্ষকতা পেশা হতে হবে জীবনের ব্রত।
শিক্ষকদের মান বৃদ্ধি করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। পরীক্ষারভারে শিক্ষার্থী যেন ভারাক্রান্ত না হয় সে দিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সানোয়ার হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডাক্তার মো: ফারুক হোসেন প্রমুখ।