অবশেষে চাপে নতি স্বীকারে বাধ্য হল পাকিস্তান। বুধবার দেশটির একটি আদালত জঙ্গি নেতা হাফিজ মোহাম্মদ সাইদকে সারে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। হাফিজ সাইদ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার প্রতিষ্ঠাতা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ও বিদেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ। ২০০৮ সালে ভারতের মুম্বাইয়ের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলো সে। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
হাফিজ সাইদের কারাদ-ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী ইমরান গিল। তিনি জানিয়েছেন, একটি সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালত ওই রায় দিয়েছে।
বুধবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে এই রায় ঘোষণা করা হয়। তবে জিহাদি সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য তাকে দেয়া হয়েছে মাত্র ৬ মাসের কারাদ-। হাফিজ সাইদ বাকি পাঁচ বছরের কারাদ- পেয়েছে অবৈধ স¤পত্তির মালিক হওয়ার কারণে। রায়ে বিচারক ছিলেন আব্দুর রাউফ ওয়াতু। তিনি হাফিজের সহযোগি জাফ ইকবালকেও সম পরিমাণ সাজা দিয়েছেন।
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৬০ জন। এরপর থেকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তান সরকারের ওপর হাফিজ সাইদকে গ্রেপ্তারে চাপ দিয়ে আসছিলো। দীর্ঘদিন পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অবাধে ঘুরে বেড়ালেও দেশটিতে প্রভাবশালী এই জঙ্গি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে গত বছর আন্তর্জাতিক ফাইনান্সিয়াল একশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ জানায়, পাকিস্তান যদি জঙ্গি সংগঠনগুলোকে মদদ দেয়া বন্ধ না করে তাহলে ২০২০ সালে দেশটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। সম্প্রতি এ নিয়ে প্যারিসে একটি বৈঠকেও বসে সংস্থাটি। এরপরই দ্রুত হাফিজ সাইদকে বিচারের মুখোমুখি করা হলো।
শীঘ্রই এফএটিএফ পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করা নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। এরইমধ্যে দেশটি সন্ত্রাসবাদি ও জিহাদি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং সিস্টেম থেকে স¤পূর্ন বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে। এছাড়া ধুকতে থাকা অর্থনীতির দেশটির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপিত হবে।