× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ / প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড দলের ওয়েবসাইট জানাতে হবে

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০, শুক্রবার, ২:২২ পূর্বাহ্ন

ভারতের নির্বাচনকে অপরাধীমুক্ত করতে সুপ্রিম কোর্টকড়া পদক্ষেপ গ্রঞনের নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেশের সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড দলের ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও খবরের কাগজে বিস্তৃতভাবে জানাতে হবে। নির্বাচনে প্রশ্নবিদ্ধ প্রার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে  আদালত এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আর এফ নরিম্যান ও বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এই নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন, চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাইয়ের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশন ও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টকে প্রার্থীদের সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সবকিছু জানাতে হবে। আদালত আরও জানিয়েছেন, প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির বিভিন্ন ধারার উল্লেখ করাই যথেষ্ট নয়। অপরাধের অভিযোগের চরিত্র কেমন তা-ও জানাতে হবে। এর অর্থ, কোনো ধরনের অপরাধের জন্য কোন ধারায় মামলা চলছে, যেমন খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, ডাকাতি, তহবিল তছরুপ বা অর্থ-নারী পাচার সে সবও  বিস্তারিত জানাতে হবে।
তাঁরা বলেন, অপরাধী প্রার্থীদের চিহ্নিত করতেই হবে। জয়ের সম্ভাবনা প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একমাত্র বিবেচ্য হতে পারে না বলে আদালত মন্তব্য করেছেন। আদালতের মতে, প্রার্থী বাছতে হবে গুণাগুণ বিচার করে।
বিচারপতিরা জানান, কোনো রাজনৈতিক দল এই নির্দেশ না মানলে তা আদালত অবমাননা বলে গ্রাহ্য হবে।
পেশি ও অর্থ শক্তি যাতে নির্বাচনে জেতার একমাত্র মাপকাঠি না হয়, সে জন্য নির্বাচন কমিশন ও সুপ্রিম কোর্ট অনেক দিন ধরেই সচেষ্ট। কিন্তু তা সত্ত্বেও অপরাধীদের প্রার্থী করা ঠেকানো যাচ্ছে না। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, গুরুতর অভিযোগ আছে, এমন অপরাধীদের প্রার্থী না করতে আইন করতে হবে।
কিন্তু সেই আইন এখনও পর্যন্ত হয়নি। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের হিসেবে ২০০৪ সালে লোকসভা ভোটে ২৪ শতাংশ সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা ছিল। ২০০৯ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ শতাংশ। ২০১৪ সালে হয় ৩৪ শতাংশ। গত বছর ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে অপরাধী সাংসদের হার ৪৩ শতাংশ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর