পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ড (সিএসএ) জানিয়েছে, শারীরিক ধকল থেকে খেলোয়াড়দের মুক্তি দিতেই এ সিদ্ধান্ত তাদের। কারণ সামনে টানা দুটি সিরিজ রয়েছে তাদের। পাকিস্তানকে ‘না’ বলার পেছনে দেশটির নিরাপত্তা ইস্যু একটি কারণ হতে পারে। যদিও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি সিএসএ। সবশেষ পাকিস্তানে গিয়ে খেলে এসেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের অনেকটা চাপে ফেলেই রাজি করানো হয়। আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের মধ্যস্থতার প্রয়োজন হয়েছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পাকিস্তান সফর থেকে সরে আসার পেছনে আরেকটি কারণ আইপিএল।
এখন ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে ইংলিশদের সঙ্গে চার ম্যাচের টেস্ট ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে তারা। ইংল্যান্ড সিরিজ শেষ হতে না হতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে প্রোটিয়াদের। সিরিজটি শেষ হবে ৭ই মার্চ। এরপর ১২ই মার্চ ভারতের মাটিতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলবে তারা। যেটি শেষ হবে ১৮ই মার্চ। এই সময়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা ব্যস্ত থাকবে সুপার লীগ (পিএসএল) নিয়ে। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির এই টুর্নামেন্ট শেষ হবে ২২শে মার্চ।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পরিকল্পনা ছিল, ভারত সফর শেষে দুবাইয়ে অবস্থান করবে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। এরপর পিএসএল শেষে দুবাই থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে চলে আসবে প্রোটিয়ারা। কিন্তু ২০২০ আইপিএল শুরুর সম্ভাব্য সময় মার্চের শেষ সপ্তাহ। দক্ষিণ আফ্রিকার বড় তারকাদের প্রায় সবাই আইপিএল-এ কোনো না কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত। অল্প সময়ের মধ্যে পাকিস্তানে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে আইপিএল-এ যোগ দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে তাদের জন্য। এ কারণেই পাকিস্তান সফর থেকে সরে দাঁড়িয়েছে সিএসএ।