× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আন্দোলনের মুখে শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ ঘোষণা

শিক্ষাঙ্গন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে
(৪ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০, শনিবার, ৭:০৩ পূর্বাহ্ন

টানা এক সপ্তাহ ধরে চলা আন্দোলনের মুখে অবশেষে অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে রাজশাহীর প্রাইভেট শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ। আজ শনিবার বিকালে একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি এক সভায় কলেজ বন্ধ ঘোষণার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. হাসানুজ্জামান হাসু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সভায় কলেজ হোস্টেলে অবস্থানরত ছাত্রদের শনিবার রাত ৮টা ও ছাত্রীদের আজ রোববার সকাল ১০টার মধ্যে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এরআগে সপ্তাহব্যাপী চলা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়ে শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিএমডিসির অনুমোদন না থাকার পরও সাত বছর ধরে অবৈধভাবে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে গত ৮ই ফেব্রুয়ারি হতে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, কলেজে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। অনুমোদন নেই বিএমডিসির। ক্লাস হয় না। অথচ শিক্ষার্থীদের কাছে নানা ফি’র নামে লাখ লাখ টাকা নেয়া হচ্ছে।
কিন্তু বিএমডিসির অনুমোদনের বিষয়ে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম স্বাধীন বলেন, একের পর এক নানা সমস্যার কারণে আমরা এখনো দাঁড়াতে পারি নি। তবে বিএমডিসির অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তারা পরিদর্শনও করেছে। কিছু শর্ত দিয়েছে। সেগুলো পূরণের চেষ্টা চলছে। হয়তো দ্রুত আমরা অনুমতি পেয়ে যাবো।

জানা যায়, এখন পর্যন্ত মোট সাতটি ব্যাচে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় কলেজটিতে। এর মধ্যে প্রথম ২ ব্যাচ ও চতুর্থ ব্যাচে ২৫ জন করে এবং পরবর্তিতে ৫০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন মেলে। তবে কলেজটিতে শুরু থেকেই অনুমোদন না থাকা, শিক্ষক সংকট এবং হাসপাতালে রোগী না থাকায় আসন ফাঁকাই থেকে যায়।

এরআগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কলেজে পরিদর্শন শেষে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমোদন দেয়। কিন্তু সেখানে ৫০জন শিক্ষার্থী ভর্তি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে এই অনিয়ম রাবি কলেজ পরিদর্শকের নজরে আসার পর ২০১৬ সালে সেই সেশনের কার্যক্রম স্থগিত করা করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু সদুত্তর না পাওয়ায় সেই সেশনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর