× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোহিঙ্গা নারীদের পাচার করা সহজ

অনলাইন

তামান্না মোমিন খান
(৪ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০, রবিবার, ১১:১০ পূর্বাহ্ন

মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট এলিনা খান বলেছেন, পাচার সব সময় ছিলো। তবে যেহেতু রোহিঙ্গারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে সেহেতু তাদেরকে পাচার করা পাচারকারীদের জন্য সহজ। কারণ তারা অনেক লোভ দেখায়। সেটা ছেলে  বা মেয়ে সবার জন্য হতে পারে। এ ব্যাপারে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে, নজরদারি বাড়াতে হবে। সম্প্রতি সেন্টমার্টিনের কাছে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় হতাহতের প্রেক্ষিতে তিনি মানবজমিনকে এসব কথা বলেন।

এলিনা খান বলেন, যে ট্রলার ডুবি হয়েছে, সেই ট্রলারে পুরো পরিবারও ছিলো। রোহিঙ্গারা প্রথম যখন এসেছিল তখন শিশু পাচার হয়েছে অনেক।
তখন তারা নিয়ন্ত্রণহীন ছিলো। এখন তারা মানববেতর জীবন-যাপন করছে। শুধু খাওয়া আর থাকার মধ্যে আছে। তাদের চাকরি নাই, কোন কাজ নাই, এমন অবস্থা থেকে তাদের পাচার করা খুব সহজ। এই অবস্থা থেকে প্রত্যেকটা মানুষ সহজে প্রলোভনে পড়ে। এদিক বিবেচনায় রোহিঙ্গা নারীরা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন।

ট্রলার ডুবিতে আমরা অনেক রোহিঙ্গা নারীর লাশ দেখতে পেলাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ট্রলারগুলো কোন জায়গা থেকে ছাড়ে তা দেখার জন্য নৌ বাহিনীর টহল বাড়াতে হবে। এসব কাজ যারা করছে তাদের যদি এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে ভবিষ্যতে আমরা এ ধরনের ঘটনা আরও দেখতে পাবো।

এই মানবাধিকার কর্মী বলেন, রোহিঙ্গারা এখন মরিয়া হয়ে গেছে। না মিয়ানমার নিচ্ছে, না আমরা ওদের ঠিকমতো রাখতে পারছি। শুধু খাওয়া আর জীবনযাপন সব কিছু না। তাদেরকে কর্মের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এজন্য আমি মনে করি, রাষ্ট্রের এবং জাতিসংঘের কাজ করা দরকার। এজন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা দরকার।

এই লোকগুলো সাবলম্বী হলে যখন তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবে তখন টাকাটা নিজেদের কাজে ব্যবহার করতে পারবে। যখন মানুষ কাজের  মধ্যে থাকবে এবং দেখবে আমার সঞ্চয় হচ্ছে, তখন তারা আর পাচার হওয়ার ঝুঁকি নেবে না। শুধু খাওয়া দিলেই হবে না, জাতিসংঘকে পরিকল্পনা করতে হবে যে, এই  রোহিঙ্গারা ফেরত গেলে তারা বাচঁবে কিভাবে।

জাতিসংঘের রিফুজি ক্যাম্পে কিন্তু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় না। এজন্য এটা যদি জাতিসংঘের অধীনে হয়, তাহলে সমস্যা হবে না। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা আয় করলে বাইরের সাহায্য কমে আসবে। এজন্য সরকারও চাইবে না এটা হোক। আমরা চাই, এমন পরিকল্পনা নেয়া হোক যাতে বাইরের সাহায্য বন্ধ না হয় এবং তাদেরও কর্মসংস্থান হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর