র্যাগিংয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন, বিনা অপরাধে বহিষ্কার প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয়ায় ৪ ঘণ্টা অবরদ্ধ ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা ও তদন্ত কমিটির প্রধান শেখ সুজন আলী, প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধানসহ প্রক্টরিয়াল বডি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার মাঝে বহিষ্কারাদেশ তুলে না নিলে তারা প্রশাসনিক ভবনে আমরণ অনশনে বসবে। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তক্রমে দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময় র্যাগিংয়ের দায়ে ৫ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। তবে র্যাগিংয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেউ বলছেন, এ ঘটনায় তিনি জড়িত না। আবার কেউ কেউ বলছেন, র্যাগিংয়ের শিকারের সঙ্গে তাদের আগে মীমাংসা হয়ে গেছে। অবশ্য তদন্ত কর্মকর্তা তাদের তদন্ত নিখুঁত বলে দাবি করেছেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার আগে পরের ঘটনা মিলিয়ে অভিযুক্তদের শাস্তি দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ফারহানা রহমান লিয়োনাকে র্যাগিংয়ের দায়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তোয়াবা নুশরাত মিম ও একই বিভাগের শায়রা তাসনিম আনিকাকে এক শিক্ষাবর্ষ (২ সেমিস্টার) এর জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে চারুকলা বিভাগের মৌমিতা পারভীনকে সতর্কতার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তিনি ও তার অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে। কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আল ইমরানকে র?্যাগিংয়ের দায়ে স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের জাকির হোসেনকে তিন শিক্ষাবর্ষ (৬ সেমিস্টার), একই বিভাগের তানভীরুল ইসলাম (সুজন) কে দুই শিক্ষাবর্ষ (৪ সেমিস্টার) এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেহেদী হাসান (মিশু)কে দুই শিক্ষাবর্ষ (৪ সেমিস্টার) এর জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা শেখ সুজন আলী জানান, আমরা সুষ্ঠু তদন্ত করেছি। আমাদের তদন্তে কোনো গ্যাপ নেই। ইমরান অসুস্থ হওয়ার আগের একটা রেকর্ড পেয়েছি। সেই সূত্র ধরে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।