× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভাঙ্গুড়ায় বিরোধপূর্ণ জলাশয়কে মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষণা

বাংলারজমিন

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) থেকে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার

 পাবনার ভাঙ্গুড়ায় একটি খাস জলাশয়কে কেন্দ্র করে চলা দীর্ঘদিনের বিরোধ ঠেকাতে জলাশয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের ওই জলাশয়কে মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষণা করেন পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ। এতে দুই পক্ষই মালিকানা হারালো জলাশয়ের। গত বিশ বছরে এই জলাশয় নিয়ে অসংখ্যবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর ধারণা এতে দীর্ঘদিনের চলমান বিরোধের অবসান ঘটলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে মোট পাঁচ একর পাঁচ শতাংশ জায়গা খাস সম্পত্তি হিসেবে রয়েছে। যার দেড় একর জায়গা জলাশয় এবং বাকি অংশ আবাদযোগ্য। এলাকার প্রভাবশালী আবুল কালাম আজাদ ও টিপু মুন্সি গংরা এই সম্পত্তি ভোগদখল করত। প্রায় দুই যুগ আগে তৎকালীন জেলা প্রশাসন ওই গ্রামের আকুল সরদার, জাহাঙ্গীর আলম, মোজাম প্রামাণিক, ও সোহরাব হোসেনসহ ১৮ জন ভূমিহীন ব্যক্তির মাঝে ওই জলাশয়সহ পুরো সম্পত্তি বন্দোবস্ত দেন।
এই বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য টিপু মুনশি ও আবুল কালাম আজাদ গংরা ওই জলাশয়ের মালিকানা দাবি করে বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। তবে প্রশাসন এ আবেদনে কোনো সাড়া দেয়নি। সে সময় জলাশয় দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এরপরেও ওই জলাশয় টিপু মুনশি ও আবুল কালাম আজাদ গংদের হাতেই থেকে যায়। এদিকে সরকারিভাবে বন্দোবস্ত পাওয়ার পরেও দখলে যেতে না পেরে জাহাঙ্গীর, মোজাম, আকুল, সোহরাবসহ বন্দোবস্ত পাওয়া ভূমিহীনরা আদালতের দ্বারস্থ হন।
দীর্ঘ সময় মামলা চলার পরে ২০১৫ সালে আদালত বন্দোবস্ত পাওয়া ভূমিহীনদের ওই জলাশয়ের বৈধ মালিকানা ঘোষণা করেন। কিন্তু গত চার বছরে ভূমিহীনরা একাধিকবার জলাশয় দখলে নিতে গেলে অপরপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রশাসনের নির্দেশে উভয়পক্ষই ওই জলাশয়ে আর যেতে পারেনি। এসব ঘটনায় স্থানীয় রাজনীতিবিদরা দু’পক্ষের বিবাদ নিরসনে একাধিকবার সালিশ করেও কোনো সমাধান করতে পারেনি। সম্প্রতি জলাশয় দখল নিয়ে আবারো উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছিল। এ অবস্থায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন শনিবার জলাশয়কে মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষণা করে উভয়পক্ষকে জলাশয় দখল থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন এবং একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর