× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আরো কিছু কথা

এক্সক্লুসিভ

শামীমুল হক
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার

‘সংবাদপত্র জগৎকে বদলে দেয়ার নাম মানবজমিন...।  শামীম ভাই, মানবজমিন-এর লেখাটি পড়লাম মন দিয়ে। মাধবপুর, বাহুবল, হবিগঞ্জ, নবীগঞ্জ সবই আসলো কিন্তু চুনারুঘাট সম্ভবত ভুলবশত লেখা থেকে বাদ পড়েছে। আসলে কোনো কোনো কথা মাঝেমধ্যে বাদ পড়ে যায়। আমার বিশ্বাস ছিল, অন্তত চুনারুঘাটের নাম মনে না থাকলেও নুরুল আমিন নামটা আপনার মনে থাকবে। যাক ভালোবাসা থাকলেই হলো। মানবজমিন-এর জন্য শুভ কামনা।’ মেসেঞ্জারে এ মেসেজ পাঠান চুনারুঘাট প্রতিনিধি নুরুল আমিন। যিনি বাংলাবাজার পত্রিকা থেকে আমাদের শতাধিক সাংবাদিক-কর্মচারীর সঙ্গে বাংলাবাজার পত্রিকা ছেড়ে দেন। যোগ দেন মানবজমিন-এ।
তার নাম যদি আমার লেখা থেকে বাদ যায় তাহলে কষ্ট পাওয়ারই কথা।

সংবাদপত্র জগৎকে বদলে দেয়ার নাম মানবজমিন। শনিবার এ শিরোনামে একটি লেখা প্রকাশিত হয়। দীর্ঘ বাইশ বছরের সহকর্মীদের নিয়ে এ লেখায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি সাবেক ও বর্তমান সহকর্মীদের মনে করার। এ লেখাটি মানবজমিন থেকে আমার ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার দেই। এতে ব্যাপক সাড়া পড়ে। শুধু তাই নয়, ব্যাপক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াও হয়। দুপুরে আরো একটি মেসেজ- শামীম ভাই আমিও মনে হয় কাজ করছিলাম, হয়তো ভুলে গেছেন! অথবা মনে ছিল, কিন্তু বড় বড় সাংবাদিকদের কাতারে আমার নামটি বেমানান সেই জন্য স্থান পায়নি। একসময়ের সহকর্মী রিমন রহমানের আবেগি এ লেখা পড়ে আমি নিজেই কষ্ট পেয়েছি।

শনিবার অফিসের নিচে গাড়ি থেকে নামতেই দেখা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জস্থ স্টাফ রিপোর্টার জয়নাল আবেদীন জয়ের সঙ্গে। সালাম দিয়েই বললেন, ‘বস লেখাটি পড়লাম। খুব চমৎকার লেখা। কিন্তু আপনার নজরে আমি নেই...।’ দুঃখিত বলা ছাড়া কিছইু বলার ছিল না আমার। জয়নাল আবেদীন জয় মানবজমিন-এ যোগ দেয়ার পর থেকেই তার কাজ দিয়ে সবার মন জয় করে নিয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের আজিজুর রহমান চৌধুরী ফোন দিয়ে বলেন, ভাই আগামীতে যেন আমরা থাকি। আর গতকাল বিকালে ঝিনাইদহের আমিনুল ইসলাম লিটন ফোন দিয়ে বলেন, অমুকের নাম ছিল। আমার নামটি না দেখে খুব কষ্ট পেয়েছি। মনে মনে বলেছি, এত তাড়াতাড়ি শামীম ভাই আমাকে ভুলে গেলেন। বাজিতপুর প্রতিনিধি হোসেন মাহবুব কামাল রাতে ফোন দেন। লেখাটির প্রশংসা করেন। কিন্তু তার নাম নেই একবারও বলেননি। চিন্তা করে দেখলাম শুধু তারাই নয়, আরো অনেকের নাম বাদ পড়েছে। এই তো সেদিন সিরাজুস সালেকিন মানবজমিন ছেড়ে গেছেন। আমার ঠিক সামনে বসতেন। তার নামটাও বাদ গেল? আর হাফিজ মুহাম্মদ ক’দিন হলো তুরস্কে গেছেন পড়াশোনা করতে সে দেশের সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে। এক সময় দাপুটে সাংবাদিক মামুন নেছার এখন ব্যবসা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। সেও তো ছিল মানবজমিন-এ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন আতিক রহমান। পরে রিপোর্টার হিসেবেও যোগ দেন অফিসে। এখন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বড় পদে চাকরি করেন। খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আলোচিত পলাশ মাহমুদও কাজ করেছেন মানবজমিন-এ। ফররুখ মাহমুদ ক’দিন আগেও সহকর্মী ছিলেন। এখন একটি টিভিতে কাজ করছেন রিপোর্টার হিসেবে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন মনির হোসেন। কাজী তোফায়েল আহমেদ মানবজমিন-এর শুরু থেকে ছিলেন সাথী হিসেবে। সার্কুলেশনের প্রধান। পত্রিকার কাটতি বাড়াতে তিনি নিয়েছেন নতুন নতুন অনেক পদক্ষেপ। কোর্ট প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন আব্দুল হক ভূঁইয়া। মেডিকেল প্রতিনিধি কাজী আল-আমিন। মানবজমিন-এর শুরুতেই শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন কবি ইসহাক কাজল। এক সময় তিনি লন্ডন চলে যান। সম্প্রতি তিনি ইন্তেকাল করেন। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। পরে শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন কামরুল আম্বিয়া। দীর্ঘদিন কাজ করার পর কামরুলও চলে যান আমেরিকায়। মানবজমিন-এ  আরো ছিলেন মশিউর রহমান খান, আফসার আহমেদ, কস্তুরি পারভীন, শরীফ তালুকদার, কাজী জেভেল, নুসরাত জাহান, জসিমউদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, ফখরুদ্দিন মেহেদী, ওবায়দুল্লাহ রনি, আব্দুল আলীম, সুরেশ কুমার দাস, আহমেদ আল-আমিন, সরোজ মেহেদী, জিয়া চৌধুরী। স্পোর্টসে কাজ করেছেন আবু হুরায়রা তামিম, একরাম হোসেন ও জহির ভূঁইয়া। শুরুতে ফটো সাংবাদিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন আমিরুল ইসলাম শাহিন।  আর জে হাসিব রায়হান কাজ করেছেন টেকনিক্যাল বিভাগে। এক সময় কবি মতিন রায়হানও ছিলেন মানবজমিনে।
দীর্ঘ বাইশ বছরে অনেকেই কাজ করেছেন মানবজমিন-এ। তাদের অনেকেই দাপটের সঙ্গে মিডিয়ায় কাজ করছেন। কেউ কেউ বিসিএস ক্যাডার হিসেবে প্রশাসনে যোগ দিয়েছেন। তবে যে যেখানেই থাকুক না কেন মানবজমিন-এর প্রতি রয়েছে সবার ভালোবাসা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর