× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জামিয়া মিলিয়ার যে ভিডিও ভাইরাল

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০, সোমবার, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন

নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভের প্রায় দু’মাস পরে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরির ভিতরে জোর করে প্রবেশ করছে পুলিশ এবং লাঠি দিয়ে প্রহার করছে এর ভিতরে থাকা শিক্ষার্থীদের। এই ভিডিওটি রোববার সকালে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ভারতে নতুন করে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। রোববার আরও দুটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ হয়। এর কয়েক ঘন্টা পরেই সিসিটিভির ওই ভিডিও ফুটেজটি ফাঁস হয় সকালেই।
প্রথম দুটি ক্লিপে দেখা যায়, যুবকরা একটি রিডিং রুম বা লাইব্রেরিতে প্রবেশ করছেন। এতে তাদের কারো কারো হাতে ইটপাটকেল দেখা যায়। তারা লাইব্রেরির প্রবেশপথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। এই ক্লিপটি দেখে মনে হয়, শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিতে পুলিশের প্রবেশে বাধা দিচ্ছিলেন। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বিরোধী জামিয়া মিলিয়ার শিক্ষার্থীদের গ্রুপ জয়েন্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটি (জেসিসি) বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ নৃশংসতা চালিয়েছে বলে তাদের যে অভিযোগ, এই ফুটেজ সেই দাবির পক্ষে প্রমাণ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে, ওই ভিডিও ক্লিপ তাদের কাছ থেকে ফাঁস হয় নি।

টাইমস অব ইন্ডিয়া আরো লিখেছে, একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যুবকরা লাইব্রেরিতে দ্রুত প্রবেশ করছেন। অন্যটিতে দেখা যায় লাইব্রেরির প্রথম ফ্লোরের ব্যালকনিতে জমায়েত হয়েছেন কিছু শিক্ষার্থী। তারপর দ্রুত তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পুলিশ ওই তিনটি ভিডিওরই কপি নিয়ে নিয়েছে। তারা এরই মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে পুলিশ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে প্রবেশ করে লাঠি দিয়ে প্রহার করছে শিক্ষার্থীদের। এ সময় বেশ কিছু পুলিশ সদস্যের মুখ ছিল ঢাকা। বিএ পড়ুয়া পারসিয়ান একজন শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাবি বলেছেন, পুলিশ যখন ভবনটির ভিতরে প্রবেশ করে তখন তিনি এর ভিতরে পড়ালেখা করছিলেন। অকস্মাৎ পুলিশ সেখানে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া শুরু করে। এ ছাড়া তারা লাইব্রেরির গ্লাস ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। অনুনয় সত্ত্বেও তারা শিক্ষার্থীদের প্রহার করতে থাকে। সাম্প্রদায়িকভাবে আঘাত করা যায় এমন অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করে।  

জেসিসির সদস্য রাগিব নাওশাদ বলেছেন, আমরা কখনো অস্বীকার করি নি যে, কিছু শিক্ষার্থী টেবিল এবং চেয়ার দিয়ে লাইব্রেরির দরজায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন। বাইরে যা ঘটছিল তার প্রেক্ষিতে এমন ব্যবস্থা নিয়েছিলেন ভিতরে পড়ুয়ারা। অল্প কিছু শিক্ষার্থী সেখানে ছিলেন, যারা প্রতিবাদ করছিলেন এবং দৌড়ে ক্যাম্পাসে চলে যান। তিনি প্রশ্ন রাখেন, কেন পুলিশ লাইব্রেরিতে প্রবেশ করে সব শিক্ষার্থীকে প্রহার করলো? এমন কি যারা পড়াশোনা করছিলেন তাদেরকেও প্রহার করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর