চীনে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রোববার দেশটিতে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৬৫ জনে। এ ছাড়া মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। এরইমধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করলে তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে চীনের একটি আদালত। বার্তা সংস্থা ডিপিএ’র বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
খবরে বলা হয়েছে, চীনে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ করোনা ভাইরাসের উপসর্গ গোপন করলে কিংবা ভুল তথ্য দিলে তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। আর এর শাস্তি হিসেবে এমনকি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। চীনের একটি আদালত এমন নির্দেশনা দিয়েছে।
শনিবার আদালত এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ভ্রমণের তথ্য লুকালেও তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। স্থানীয় সংবাদপত্র বেইজিং ডেইলি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে কেউ ভাইরাসটি ছড়াতে সহযোগিতা করলে তাকে মানুষের নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলার অপরাধে অভিযুক্ত করা যাবে। গুরুতর ক্ষেত্রে নির্দেশনা অমান্যকারীদের ১০ বছরের জেল, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে।
এদিকে শনিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনও একটি নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। সেখানে জ্বর, কাশি অথবা অন্য কোনো রোগে আক্রান্তদের সড়ক, রেল কিংবা বিমানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাস ছড়ানোর মতোই দ্রুতগতিতে বাড়ছে জীবাণুর ভয়। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানা ধরনের জীবাণু-প্রতিরোধকের চাহিদা। কেমিক্যাল সংস্থাগুলোর বিভিন্ন পণ্যের বিক্রিও বাড়ছে। কিন্তু পণ্যবাহী জাহাজ চীনের সীমান্তে আটকা থাকার ফলে নতুন মাল পৌঁছতে পারছে না। নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষে শহরগুলোতে ফিরতে শুরু করেছে চীনের মানুষ। কেউ নতুন করে ফিরে আসলে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে বাড়িতে স্বেচ্ছায় বা পর্যবেক্ষণে এই সুরক্ষা নিতে হবে তাদের। নির্দেশ অমান্যকারীদের আইনের মুখোমুখি এবং শাস্তি পেতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। নির্দেশনাটি কীভাবে কার্যকর হবে কিংবা শাস্তির মাত্রা কেমন হবে সে বিষয়ে এই নির্দেশনায় কিছু উল্লেখ করা হয়নি।