× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সৌরচালিত পাম্পে সবুজ হয়ে উঠেছে কৃষকের স্বপ্ন

রকমারি

তোফায়েল হোসেন জাকির, সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রত
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার

সৌরচালিত সেচ পাম্পে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কৃষকের স্বপ্ন সবুজ হয়ে উঠেছে। পরিবেশবান্ধব এ সোলার পাম্পের মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচ দিয়ে কৃষক আবাদ করছেন বিভিন্ন সবজিসহ ইরি-বোরো ধান।

কৃষি ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট। এ এলাকায় চাষ করা হয় নানান ধরনের সবজি। সেচ নির্ভর এসব আবাদে খরচ কমাতে ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিনের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে সৌরচালিত সেচ পাম্প।

সরেজমিনে উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের রাঘবেন্দপুর গ্রামের কৃষি মাঠে দেখা যায়, গভীর নলকূপের এই পাম্পটি। সেখানে অনায়াসে সেচ নিচ্ছেন ইরি ধান ও সবজি চাষীরা।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও এই এলাকায় বিদ্যুতের কোনো সংযোগ ছিল না। কৃষকের মাঠে পানি সরবরাহ করতে ব্যবহার করা হতো ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন। যার ফলে জমিতে সেচ দিতে খরচ হতো অনেক। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সৌরচালিত পাম্প স্থাপন করেন এটিইএস বাংলাদেশ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা।
সেই থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে সেচ দিয়ে কৃষকরা আবাদ করছেন তাদের স্বপ্নের ফসল।

রাঘবেন্দপুর গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন জানান, এখানকার ফসলের মাঠে কয়েক বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে সৌরচালিত পাম্প। এটিইএস বাংলাদেশ নামের সংস্থাটি তার জমিতে ২০ বছর চুক্তিতে স্থাপন করেছেন সৌর পাম্প। বছর শেষে ৫ হাজার টাকা ভাড়া পান তিনি। আর এই পাম্প থেকে সেচ নিয়ে ফসল উৎপাদন করেছে কৃষকরা। ইরি ধান সেচে পুরো মৌসুমে শতক প্রতি ৮০ টাকা, আমন ধান ও অন্যান্যে ফসলে ৩০ টাকা হারে নেওয়া হচ্ছে কৃষকের কাছ থেকে। সেচ বাবদ কৃষকের টাকা পাচ্ছেন এটিইএস বাংলাদেশ।

ইরি ধান চাষি আমিনুল ইসলাম জানান, ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিনের চেয়ে সৌরচালিত পাম্পে পানির খরচ অনেকটাই কম। তাই পরিবেশবান্ধব এই পাম্প থেকে নিরাপদে সেচ নেয়া হচ্ছে জমিতে।

এটিইএস বাংলাদেশের সুপারভাইজার রনজু মিয়া জানান, সাদুল্লাপুর উপজেলায় ১৫টি সৌরচালিত পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ ধাপেরহাট ইউনিয়নে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর