× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কিষাণীর কষ্ট

অনলাইন


(৪ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০, মঙ্গলবার, ২:১৭ পূর্বাহ্ন

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো চারা রোপণের কাজ। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কাজ করছেন জমিতে। নারী ও পুরুষ শ্রমিক একই কাজ করলেও রয়েছে মজুরি বৈষম্য।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা জুড়ে পুরোদমে চলছে বোরো ধানের চারা রোপণ কাজ। নাওয়া খাওয়া ভুলে যেনো সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় সময় কাটাচ্ছে মাঠেই। তবে এ এলাকায় পুরুষ কিষাণের চেয়ে বেশি সংখ্যায় রোপণ কাজ করছেন নারী কিষাণীরা। দৈনিক মজুরিতে রোপণ কাজ করছেন তারা। তবে রয়েছে মজুরি বৈষম্য।

উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুরের সূর্যপাড়া গ্রাম থেকে জমিতে কাজ করতে আসা আদিবাসী নারী শ্রমিক পুষ্প মার্ডি, বাহামনি মুর্মু, নির্মলা টুডু ও ইপিপিনা মার্ডি বলেন, কৃষি কাজে পুরুষের পাশাপাশী নারীরাও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন।
সকালে উঠে বাড়ি রান্নাবান্না শেষ করে দুপুরে নিজেদের খাবার সঙ্গে বেঁধে নিয়ে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মাঠে বোরো চারা রোপণ কাজ করছেন তারা। পুরুষ কিষাণের তুলনায় বেশি কাজ করেও মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। তারা বলেন একই কাজ সমান তালে করলেও তারা কেন পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে মজুরী কম দেয়া হয়।

কৃষাণ জাবেদ খান বলেন, তিনি সকাল ৮টা থেকে ৫টা পর্যন্ত জমিতে কাজ করে তিনি প্রতিদিন ৪০০ টাকা করে দিন মজুরি পাচ্ছেন। নারীরা বাড়ির সব কাজ-কর্ম করে জমিতে দেরি করে আসার কারণে জমি মালিকরা তাদেরকে কম মজুরি দিচ্ছেন।

উপজেলার খয়েরবাড়ি ইউনিয়নের মুক্তারপুর ডাঙাপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল আলিম বাবু বলেন, তিনি এ বছর পৌঁণে দুই বিঘা জমিতে বোরো চারা রোপণ করছেন। পুরুষ কৃষাণের তুলনায় নারী কৃষাণীদের কাজের মানগুণগত হওয়ায় তিনিসহ প্রত্যেকে নারীদর দ্বারা বোরো চারা রোপণ কাজ করাচ্ছেন। তবে নারীদের বেতন কম কারণ তারা সকাল ৯টায় কাজে আসেন আর পুরুষরা সকাল ৮টায় আসায় তাদের বেতন বেশি দেয়া হয়। তিনি দুপুরের খাওয়া-দাওয়া বাদে নারী কিষাণীদের দিচ্ছেন ৩০০ টাকা ও পুরুষ কিষাণকে দিচ্ছেন ৪০০ টাকা।

কৃষক বেলাল উদ্দিন বলেন, স্থানীয় কোন কিষাণ-কিষাণী না পাওয়ায় তিনি পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে ৬ জন কিষাণ এনে পৌঁণে ৫ বিঘা জমিতে চারা রোপণ  করছেন। বাহিরের কিষাণ তাই তাদের জন্য দুপুরের খাওয়ার আয়োজন করতে হচ্ছে। তাই এক বেলা খাবার দেয়ার কারনে তাদের প্রত্যেককে ৩০০ টাকা করে দিন মজুরি দেয়া হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর