× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একই জমিতে পিয়াজ ও বেগুন চাষ

বাংলারজমিন

মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার

 নওগাঁর মহাদেবপুরে একই জমিতে পিয়াজ ও বেগুন চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ইছহাক আলী। অল্প জমিতে অধিক ফসল চাষের লক্ষ্যে ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তা থেকে এমন উদ্যোগ নেন বলে তিনি জানান। তিনি মহাদেবপুর উপজেলার চকগোবিন্দ গ্রামের একজন প্রান্তিক কৃষক। অল্প জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষ করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে অধিক ফসল বাজারে বিক্রয় করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে চান। ইছহাক আলী জানান, গত রবি মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে এমন ফসল উৎপাদন করে সফলতার সন্ধান পেয়েছিলেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি রবি মৌসুমে চকগোবিন্দ গ্রামের কৃষক ইছহাক আলী তার পার্শ্ববর্তী ফাজিলপুর গ্রামের মাঠে ২৩ শতক জমিতে পিয়াজ ও বেগুন চাষ করেন। একই জমিতে দু’টি ফসল চাষ করায় উৎপাদন খরচ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। পিয়াজের পনে ২ হাত জায়গার দুই ধারের শুল্লিতে রোপণ করেছেন বেগুনের চারা।
পিয়াজ ও বেগুন উভয় চারাগুলো দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী চৈত্র মাসে পিয়াজ তোলার উপযোগী হবে এবং বেগুনের চারাগুলো বড় হয়ে বেগুন ধরতে শুরু করবে। পিয়াজ উঠানোর পরে শুল্লিতে রোপণকৃত বেগুনের চারাগাছগুলোর গোড়া মাটি দিয়ে বাঁধাই করে সেচ দিলেই বেগুন গাছে ফুল আসতে শুরু করবে। চলতি মৌসুমের কিছুদিন আগে থেকে হঠাৎ পিয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়াই পিয়াজ চাষে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন তিনি। ২৩ শতক জমিতেই তিনি ৩০ মণ পিয়াজ ও ১০০ মণ বেগুন উৎপাদনের আশা ব্যক্ত করেন। পিয়াজ ও বেগুনের দাম ভালো থাকায় স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ইছহাক আলী। তিনি মনে করেন দেশের প্রতিটি কৃষক যদি তাদের ফসলি জমির মধ্যে কিছু জমিতে পিয়াজ চাষ করেন, তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে পিয়াজ রপ্তানি করা সম্ভব। একই জমিতে পিয়াজ ও বেগুন উৎপাদন ছাড়াও বাকি জমিতে ঢেড়স, খিরা, মিষ্টি আলু, গম, আলু চাষ করেছেন তিনি। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, চলতি মৌসুমে ২২০ হেক্টর জমিতে পিয়াজের লক্ষ্যমাত্রা থাকলে ২৬০ হেক্টর জমিতে পিয়াজ চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০ হেক্টর অধিক জমিতে পিয়াজ চাষ করা সম্ভব হয়েছে এবং একই জমিতে অল্প খরচে দু’টি ফসল পিয়াজ ও বেগুন চাষ অত্যন্ত লাভজনক। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, পিয়াজ, রসুন, আদাসহ সকল মসলা জাতীয় ফসল চাষের জন্য কৃষকদের অল্প সুদে কৃষি লোন প্রদান করতে উপজেলার সকল ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর