× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিকেএসপিতে উজ্জ্বল শাহাদাত

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার

দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। তবে যুব বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটাররা খেলছেন বলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের ম্যাচটিতে আগ্রহ সবার। প্রথম দিনে বিশ্বকাপজয়ী ৬ টাইগার যুবা ও অন্য তরুণ সদস্যরা কেমন করলেন? উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স অফস্পিনার শাহাদাত হোসেনের ১৬ রানে ৩ উইকেট। আরেক স্পিনার আল আমিনের শিকার ২ উইকেট। তবে পেসাররাও চাপে রেখেছিল জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের। যদিও শরীফুল ইসলাম ছাড়া আর কেউ সাফল্য পাননি। দিন শেষে শাহাদাত বলেন, ‘আসলে ওরা কিন্তু পেস বলও ভালো খেলেনি। ওরা দুই দিক থেকেই সমস্যায় পড়েছিল, স্পিনে উইকেট এসেছে বলে তারা যে স্পিন খারাপ খেলেছে এমন নয়।
উইকেটটা ছিল অ্যাভারেজ। ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায়ক ধরতে পারেন। পেস বোলারদের জন্য খুব একটা ভালো ছিল না। আর বাংলাদেশের যেখানেই খেলেন উইকেট স্পিনারদের অনুকূলে থাকে। সে হিসেবে একটু সুবিধা পেয়েছি স্পিনাররা।’
এই প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের ব্যানারে খেলছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আকবর আলী, মাহমুদুল হাসান জয়, শরীফুল ইসলাম, পারভেজ হোসেন ইমন ও শাহাদাত হোসেন। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আল অমিন জুনিয়র। বিসিবি একাদশের কাছে ব্যাটিংটা চেয়েই নিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে বিকেএসপিতে প্রথম সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি জিম্বাবুয়ে। বিসিবি একাদশের বোলারদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ে রান তোলেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার। প্রথম সেশনে  বিনা উইকেটে ৯৫ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, শরীফুল ইসলাম ও সুমন খানের  পেস বোলিং আক্রমণ সামলে রান তুললে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা। প্রিন্স মাসভরে প্রথম সেশনে অপরাজিত থাকেন ৪০ রানে। তার সঙ্গী কেভিন কাসুভাও পঞ্চাশ পেরিয়ে যান এই সময়ে। তবে বিরতির পরই ৪৫ রানে মাসভরেকে ফেরান অধিনায়ক আল-আমিন জুনিয়র। ৭৫ রান করা কাসুভাকে রান আউট করেন পারভেজ হোসেন ইমন।
সত্যিকার অর্থে বিসিবি একাদশকে ম্যাচে ফেরান শাহাদাত হোসেন। এই অফ স্পিনার আউট করেন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে (১০)। ৪ রানের মধ্যে ব্রায়ান মুদজিঙ্গানামাকে সাজঘরের পথ দেখান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী শাহাদাতের শরীফুল ইসলাম। ১২৯ রানে ৩ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে জোড়া আঘাত হানেন শাহাদাত। ৩ বলের মধ্যে চাকাভা ও মুতুমবোজিকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন শাহাদত। দলীয় ২২৬ রানে আল আমিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন মারুমা (৩৪)।  এরপর জিম্বাবুয়েকে আর উইকেট হারাতে দেননি কার্ল মাম্বা এবং এইন্সলে এনদুলুভু। দুজনে অষ্টম উইকেটে গড়েন ৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। আর তাতেই ৩ উইকেট হাতে রেখে দিন শেষ করে সফরকারীরা। মাম্বা ১০৫ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। এনদুলুভু করেন ৪৪ বলে ২৫* রান।
যুব দলের সদস্যরা এখনো ক্লান্ত। সবেই তারা বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরেছেন যেহেতু। তবে এ নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন শাহাদাত। তিনি বলেন, ‘দেখেন আমাদের কাজই কিন্তু এটা। রেস্ট দরকার খেলারও দরকার। আমরা বেশি সময় পাইনি, চার-পাঁচদিন হবে। আমাদের কাজই এটা, এসব নিয়ে আমাদের সবকিছু। এখানে ভালো খেললে আগামীতে জাতীয় দলে যাওয়াটা সহজ হবে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর