‘গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা কেন পারব না’- এ বক্তব্য দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। এ প্রেক্ষিতে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন মন্ত্রী। মঙ্গলবার একনেক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। দেশের মানুষের কল্যাণে আমার গবেষকদের যে কোনো বিষয়ে গবেষণা করতে বলতে পারি। আমি গবেষকদের পরামর্শ দিয়েছি, নিউজ করতে বলিনি। বিষয়টি এভাবে আসবে ভাবিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমি এই বাংলার মানুষ। আমি কীভাবে কচুরিপানা খাওয়ার কথা বলি! তাহলে আমি কি কচুরিপানা খাই? আপনারাই বলেন।
আমি আমার গবেষকদের গবেষণা করতে বলেছি। গবেষণা তো কত কিছু নিয়েই করা যায়।
আমি শুধু কচুরিপানা নয়, কাঁঠাল ছোট করার বিষয়েও গবেষণা করতে বলেছি। সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, মিডিয়ার অবাধ স্বাধীনতা আছে, কিন্তু সেটা যেন শুদ্ধ চর্চা হয়। আমি আশা করি প্রিয় সাংবাদিকরা দয়া করে এ বিষয়টি ভবিষ্যতে খেয়াল রাখবেন। কারণ স্বাধীন সাংবাদিকতা মানে যা খুশি তা লিখে দেয়া নয়। সবাই যেন বিষয়টি বুঝে শুনি লিখি।
আগের দিন আসলে কী ঘটেছিল সে কথা তুলে ধরে মান্নান বলেন, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রূপান্তর কৃষিতেই হয়েছে। ওখান থেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষিসহ অন্য ক্ষেত্রে গবেষণা আরো বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছি।
এরপর হাসতে হাসতে রসিকতা করে আমি গবেষকদের বললাম, কচুরিপানার কিছু করা যায় কিনা দেখেন। পাশ থেকে একজন গবেষক বললেন, কচুরিপানা গরু খায় স্যার। তখন গবেষকদের কচুরিপানা নিয়ে গবেষণা করতে বলেছি। আমি আবারও বলছি, কাউকে খাওয়ার জন্য বলিনি।