× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী নেই, গুজব ও জবরদস্তি পরিহারের আহ্বান: আইইডিসিআর

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার

করোনা ভাইরাস নিয়ে অতটা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। করোনা নিয়ে গুজব ও জবরদস্তি পরিহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটির পরিচালক। গতকাল দুপুরে মহাখালীর আইইডিসিআর ভবনে করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, দেশে করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এখন পর্যন্ত ভাইরাস আক্রান্ত রোগী মেলেনি। ভাইরাস সন্দেহে যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে এই ভাইরাস আসলে প্রতিরোধেই ঝুঁকি দেখছেন পরিচালক।
ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৭৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছি। এর মধ্যে তিনজন চীনা নাগরিক। আমরা কারও নমুনায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাইনি। সুতরাং আমরা বলতে পারি বাংলাদেশে এখনও করোনা ভাইরাস মুক্ত। বিমান, নৌ ও স্থলবন্দর এবং একটি ট্রেনে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৪ হাজার ৮২০ জন যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। আইইডিসিআর-এর পরিচালক  গুজব ও জবরদস্তি পরিহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন. আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, দেশ-বিদেশের বরাত দিয়ে নানা গুজবের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সামাজিক গণমাধ্যমে এর উদ্বেজনক প্রসার ঘটছে। এ ধরণের গুজবের পরিণতিতে সাতক্ষীরাতে একজন সন্দেহজনক রোগীর মায়ের দুঃখজনক মৃত্যু ঘটেছে। শুধু তাই নয়, কোন কোন স্থানে জনসাধারণের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, এবং চীন ও সিঙ্গাপুর ফেরত কোন কোন যাত্রীর ব্যক্তিগত ও সামাজিক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এতে প্রভাবিত হয়ে কোনো কোনো স্থানে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা বাহিনী চীন ও সিঙ্গাপুর ফেরত যাত্রীদের প্রতি জবরদস্তি আচরণ করছে। গুজব এবং জবরদস্তি দু’টোই সম্ভাব্য রোগী শনাক্তে বাধার সৃষ্টি করবে এবং সন্দেহজনক রোগীরা তথ্য ও অবস্থান গোপন করবে। এটা করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্তে জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের চেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বপ্রথম আইইডিসিআর হটলাইনে যোগাযোগ করে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুনরায় আহ্বান জানায় সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত ১৮৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫ থেকে ৭ জন বাদে সবাই চীনে মারা গেছেন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ হাজারের উপরে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর