× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বেরোবি ক্যাম্পাসে হলুদ সন্ধ্যা

শিক্ষাঙ্গন

বেরোবি প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০, বুধবার, ৭:১৬ পূর্বাহ্ন

বসন্তের বাতাস বইছে। ফুরফুরে মেজাজে বকুল তলা থেকে বিজয় সড়ক। কেউবা হতাশা চত্বরে গিয়ে একাকার। অনেকে প্রিয়তমাকে ছেড়ে হতাশ হয়েই আনমনে ফিরছে ক্যাফেটেরিয়ার পথে। এ দিকে ঘড়িতে তখন ঠিক সন্ধ্যে সাতটা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে একদল তরুণ-তরুণীর হলদে শাড়ি-পাঞ্জাবিতে চোখ আটকে যাচ্ছে পথচারীদের। সবাই একটু-আধটু উঁকি দিয়ে দেখছে, কি হয়! ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদের আয়োজন যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) এবারই প্রথম।

ঝাড় বাতি, বাঁশের ডালা, কুলা, চালুন ও মাটির সরা, ঘড়া, মটকা আর বাহারি ফলের ঝুড়ি দিয়ে বিয়ের বাড়ির আমেজ তৈরির মধ্য দিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪র্থ ব্যাচের (বিশ্ববিদ্যালয় ৮ম ব্যাচ) শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সজল ও হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) বিবিএ অনুষদের শিক্ষার্থী সানজিদা জ্যোতির গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু’জনই (২০১৫-১৬) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (১৮ই ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় সহপাঠীদের আয়োজনে দুজনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হয়।
বন্ধুবান্ধব ছাড়াও বিভাগের সিনিয়র-জুনিয়রদের পাশাপাশি এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, গায়ে হলুদের এ আয়োজন বর- কনের পরিবারের লোকজন কেউই করেননি। পুরো আয়োজনটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদেরই ক্যাম্পাসে। এরকম ঘটনা রীতিমত সাড়া ফেলেছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার মুখে মুখে শোনা যায় এ খবর।  এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের এই উদ্যোগকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রশংসা করছেন অনেকে। আবার অনেকেই ইচ্ছা প্রকাশ করে বলছেন, তিনিও পরিবারের সাড়া পেলে গায়ে হলুদের আয়োজন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়েই। এ আয়োজনে অনেকই উৎসুক হয়ে  কাজ করছেন।

বরের বন্ধু বিপুল  জানান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়ে  হলুদ হলেও  আজই আমাদের ক্যাম্পাসে প্রথম কারো গায়ে হলুদ। আমরা অনেক আগে থেকেই এমন প্লান করেছিলাম। তারই সুবাদে আমরা বন্ধুরা মিলে বন্ধু বিয়ের মজা করার জন্য ক্যাম্পাসে এই হলুদের ব্যতিক্রমী আয়োজন।  ভবিষ্যত দাম্পত্য জীবনের জন্য সবার শুভকামনা।

উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সজলের আরেক বন্ধু বলেন , সজল আমার ছোট বেলার বন্ধু। স্কুল, কলেজ এবং ভার্সিটিতে তার সাথে পড়াশোনা করেছি। তার গায়ে হলুদে অংশগ্রহণ আমাদের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। আমি খুবই খুশি এবং আনন্দিত। তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে সাফল্যময় হোক।

 এবিষয়ে বর সজল বলেন, আমি সত্যি খুব আনন্দিত। অনেক আগে থেকেই আমার ইচ্ছে ছিল ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদ করার। বন্ধুরা আমার জন্য যে আয়োজন করেছে এজন্য তাদের ধন্যবাদ। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে  শিক্ষার্থী সানজিদা জ্যোতির সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয়েছে সজলের। বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২০ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি। সজল এবং জ্যোতির বাড়ি রংপুর  জেলায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর