চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা থেকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া যাওয়ার পথে পৃথক দুটি ট্রলার ডুবীর ঘটনায় শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন-উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাগমারা গ্রামের মৃত রৌশনুজ্জামানের ছেলে ওমান প্রবাসি মোহাম্মদ আক্কাস (২৮), বাঁশখালীর আইদ্দারখীল এলাকার আমান উল্লাহর ছেলে স্কুলছাত্র মো. মিনহাজ (১০), উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের গন্ডামারা গ্রামের আব্দুল মালেক (৫০) ও আব্দুল জলিল (৩২)। এ সময় একটি ট্রলার থেকে ৩০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা। তম্মধ্যে দক্ষিণ বাগামারা গ্রামের মো. বাবুল (৪০) ও আলী আকবর (১০) নামে দুজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালী চ্যানেলে ট্রলার দুটি উল্টে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। তিনি জানান, বুধবার সকাল ৯টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ও খানখানাবাদ থেকে পৃথক দুটি ট্রলারে করে দু‘দল লোক কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় মালেক শাহর ওরস মাহফিলে যাচ্ছিল। এরমধ্যে একটি ট্রলারে বঙ্গোপসাগরের মোহনার অদূরে জলবদর খালে গিয়ে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। ওই ট্রলারে প্রায় ৭০ জনের মতো ছিল। ডুবে যাওয়ার সময় লাফিয়ে খালে পড়ে সাঁতার কেটে অনেক যাত্রী তীরে উঠতে সক্ষম হন। পরে স্থানীয়রা দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
ওই ট্রলাডুবির পর আরও দুজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। খালে পড়ে অতিরিক্ত পানি পানের পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে জানান মোমেনা আক্তার।
এ ছাড়া খানখানাবাদ থেকে যাওয়া আরেকটি ট্রলার জলবদর খাল পার হয়ে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় গিয়ে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ট্রলার থেকে স্থানীয় জেলেরা ৩০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে।