× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি রোববার

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের ওপর আগামী রোববার শুনানি হবে। গতকাল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন। এর আগে মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার জামিন আবেদনটি দাখিল করেন আইনজীবী সগির  হোসেন লিয়ন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি উল্লেখ করে এই জামিন আবেদন করা হয়।  

আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন উপস্থাপন করা হলে খন্দকার মাহবুব হোসেনকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, এর আগে তো আমরা এই আবেদনটি খারিজ করেছিলাম এবং আপিল বিভাগও সেটি বহাল রেখেছেন। তখন খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা তো আবার আসতেই পারি। জামিন চাইতে বার বার আসতে তো বাধা নেই। আবেদনের নতুন গ্রাউন্ড তৈরি হয়েছে।
তখন আদালত বলেন, হ্যাঁ, আসতে পারেন। আচ্ছা, আমরা বিষয়টি রোববার শুনবো। এসময় আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জামিন আবেদনে খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতার কথা উল্লেখ করা হয়। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে দেশের বাইরে, তথা যুক্তরাজ্যের মতো দেশে তার অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট বা বায়োলজিক এজেন্ট নামের থেরাপি নেয়া প্রয়োজন। দেশের বাইরে মডার্ন অ্যাডভান্স থেরাপি ট্রিটমেন্ট নিতে এই জামিন আবেদন করা হয়।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক ও খালেদা জিয়ার অন্যতম জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন মানবজমিনকে বলেন, জামিন আবেদনে বেগম জিয়ার গুরুতর অসুস্থের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। চিকিৎসকরাই বলেছেন, তার অ্যাডভান্স চিকিৎসা প্রয়াজন। তিনি পঙ্গুত্বের দিকে চলে যাচ্ছেন। পিজি হাসপাতালেতো তিনি বহু দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অথচ তার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। বরং অসুস্থতা আরো বেড়ে গেছে। এমন কিছু ওষুধ ও ইনজেকশনের কথা বলা হচ্ছে, যেগুলো দেশে পুশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তার ইচ্ছামতো দেশি-বিদেশি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামিন আবেদন করা হয়েছে।

২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাবন্দি আছেন খালেদা জিয়া। গত বছরের ১লা এপ্রিল থেকে অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর