× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আগের রূপে চুড়িহাট্টা

শেষের পাতা

আল-আমিন
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি

এক বছর আগের ঘটনা। কয়েক সেকেন্ডের ধ্বংসলীলায় পুড়ে অঙ্গার হয়েছিল ৭১টি তাজা প্রাণ। চুড়িহাট্টার যে সরু গলিতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে সেই এলাকাটি এক বছরের মাথায় আগের রূপে ফিরেছে। চারপাশে থাকা দাহ্য পদার্থের গুদামগুলো এখনো আছে আগের মতোই। গত বছরের ২০শে ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান     ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনের সামনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৭১ জন নিহত হন। দগ্ধ হন অনেকেই। সূত্র জানায়, চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ যে আগুনের ঘটনা ঘটেছিল সেই আগুনের ভয়াবহতা বাড়িয়েছিল  সেখানে থাকা কেমিক্যালের মজুত।

ওই এলাকার কেমিক্যাল গোডাউনের ব্যাপারে পুলিশের লালবাগ জোনের ডিসি মো. মুনতাসিরুল ইসলাম মানবজমিনকে জানান, ‘যার বিরুদ্ধে দাহ্য পদার্থ মজুদের অভিযোগ পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


র‌্যাবের মাজিষ্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যালের গোডাউন সরাতে সবার ঐক্যমত জরুরি।
গতকাল সকালে চুড়িহাট্টা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আগুনের ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় আগের সেই চিরচেনা রূপ। মানুষের কোলাহলে মুখরিত এলাকা। সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। ওয়াহেদ ম্যানসনের সামনে মাঝে মাঝে যানজট দেখা দিচ্ছিল। তবে ওই দিনের অগ্নিকাণ্ড ও কান্নার হাহাকার সবার মনে আছে। ভুলতে পারেননি কেউ সেইদিনের বিভীষিকাময় রাতের কথা। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার পরও এখান থেকে কেমিক্যাল গোডাউন না সরানো ও সড়ক বড় না করার ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ওয়াহেদ ম্যানসনের পাশের এক বাসিন্দা মানবজমিনকে জানান, আগুনের ঘটনার পর এলাকাবাসী দাবি করেছিল যে, চকবাজার এলাকা থেকে সকল ধরনের কেমিক্যাল সরানো হোক। সবার মধ্যে একটি জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু এটা সময়ের ব্যবধানে ঢাকা পড়ে গেছে।
সূত্র জানায়, চুড়িহাট্ট্রায় আশপাশে এখনও প্রায় ২৫ টি কেমিক্যালের গুদাম রয়েছে। ওই গুদামগুলো ভবনের বেইজমেন্ট, কোনটি আবার নিচতলা ও একতলায় অথবা ছাদের ওপরে রয়েছে। আবারও যদি আগুনের ঘটনা ঘটে তাহলে সেখানে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সূত্র জানায়, ওইসব গোডাউনে ইথানল, বিউটক্সিইথানল, বিউটেন ও আইসোবিউটেন কেমিক্যাল রয়েছে। এগুলো নিজে জ্বলে এবং জ্বালাতে সাহায্য করে।

চুড়িহাট্টার ১৮/১ বাড়ির বাসিন্দা যুবক আরেফিন জানান, এলাকার বাসিন্দারা বেশি টাকার লোভে কেমিক্যাল গোডাউন ভাড়া দিচ্ছেন। আবার যদি দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটবে।
আরেক বাসিন্দা জানান, চুড়িহাট্টার সড়কগুলো অনেক সরু। দুর্ঘটনা ঘটলে সেখান থেকে দ্রুত বের হওয়ার উপায় নেই। এই সড়কের মধ্যে আবার কেউ চা ও পানের দোকান খুলেছে। এগুলো দ্রুত তুলে দেয়ার দাবি জানান তিনি। সামাজিক সংগঠন আমরা ঢাকাবাসীর চকবাজার থানার তথ্য সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান জানান, চুড়িহাট্টায় যেদিন আগুনের ঘটনা ঘটেছিল সড়ক সরু হওয়ার কারণে অনেকেই দ্রুত বের হতে পারেননি। আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে জানিয়েছি তারা যাতে দ্রুত কেমিক্যালের গোডাউন সরানো এবং সড়ক প্রশস্তকরণ করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর