× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অভিষেকে উজ্জ্বল লাইপজিগ-আতালান্তা /টটেনহ্যাম যেন ‘বুলেট ছাড়া বন্দুক’

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে বুধবার রাতটা নিজেদের করে নিলো আরবি লাইপজিগ-আতালান্তা। দুই দলই প্রথমবার নকআউট পর্ব খেলতে নামে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের পর রানার্সআপ টটেনহ্যাম হটস্পারও হোঁচট খেলো। টটেনহ্যামের মাঠে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে জার্মান ক্লাব লাইপজিগ জেতে ১-০ গোলে। আর নিজেদের ডেরায় ভ্যালেন্সিয়াকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে কোয়ার্টারে এক পা দিয়ে ফেলেছে ইতালিয়ান ক্লাব আতালান্তা। লাইপজিগের কাছে হারের পর টটেনহ্যাম কোচ হোসে মরিনহো বলেন, ‘মনে হয় যেন বুলেট ছাড়া বন্দুক নিয়ে লড়েছি।’ কোচিং ক্যারিয়ারে মাত্র তৃতীয়বার ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের নকআউট পর্বের ম্যাচ হারলেন মরিনহো। ২০০৬-এ চেলসি ও ২০১১তে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার। মরিনহোর দল ছিটকে যায় দু’বারই।
সব মিলিয়ে নকআউট পর্বের টানা সাত প্রথম লেগে জয়হীন মরিনহো।
ইনজুরির কারণে এ ম্যাচে টটেনহ্যাম মিস করে আক্রমণভাগের সেরা দুই তারকা হ্যারি কেইন ও সন হিউং মিনকে। ঘরের মাঠে লক্ষ্যে ৫ শট নিয়েও গোল আদায় করে নিতে পারেননি লুকাস মৌরা-ডেলে আলিরা। ৫৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে লাইপজিগকে এগিয়ে নেন টিমো ভারনার। লাইপজিগ কোচ জুলিয়ান নেগলসমান ইউরোপসেরার এই আসরের নকআউট পর্বে সবচেয়ে কম বয়সী কোচ। দলের জয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখছেন নেগলসমান।
উয়েফার শর্ত পূরণ করতে না পারায় শেষ ষোলোর ম্যাচটি নিজেদের স্টেডিয়ামে খেলতে পারেনি আতালান্তা। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে তারা নামে মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে। তবে দলকে সমর্থন দিতে ৫৫ কি.মি পথ পাড়ি দেয় আতালান্তার ৪০ হাজার ভক্ত-সমর্থক। দলের পারফরম্যান্সটাও ছিল দুর্দান্ত। উয়েফার ভাষ্য, ‘শেষ ষোলোতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সুন্দর ম্যাচ উপহার দিয়েছে আতালান্তা।’ ১৬তম মিনিটেই আতালান্তাকে এগিয়ে নেন  ডাচ ডিফেন্ডার হ্যান্স হ্যাটবোয়ার। ৪২তম মিনিটে স্লোভেনিয়ান মিডফিল্ডার ইউসিপ ইলিচিচের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আতালান্তার হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন সুইস মিডফিল্ডার রেমো ফ্রেওলার। পাঁচ মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোল করেন হ্যাটবোয়ার। স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে একমাত্র গোলটি রুশ ফরোয়ার্ড ডেনিশ চেরিশভের। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার ইউরোপিয়ান আসরে টানা তিন জয় দেখলো আতালান্তা। আসরে ১২ ম্যাচে ক্লাবটির ভিন্ন ১০ জন খেলোয়াড় গোল পেলেন। এবার এত গোলস্কোরার দেখা যায়নি অন্য কোনো দলে। আগামী ১০ই মার্চ মেস্তায়ায় ফিরতি লেগে ভ্যালেন্সিয়ার মুখোমুখি হবে আতালান্তা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর