কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার সার্ভেয়ার ওয়াসিমকে ঘুষের ৬ লাখ টাকাসহ আটক করেছে র্যাব। বুধবার বিকাল ৫টার দিকে শহরের বাহারছড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের বেশকিছু চেক ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। একই দিন সার্ভেয়ার ফরিদ ও ফেরদৌসের বাসায় অভিযান চালানো হয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। র্যাব-১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পের সিও মেজর মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে কক্সবাজার শহরে পৃথকভাবে এই অভিযান চালানো হয়।
মেজর মেহেদী হাসান জানান, কক্সবাজার শহরের তারাবনিয়ার ছড়া এলাকার একটি থেকে নগদ ৬ লাখ টাকাসহ জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার মোহাম্মদ ওয়াসিমকে আটক করা হয়। এছাড়া বাহারছড়া বাজার এলাকায় লালু সওদাগরের বিল্ডিংয়ে সার্ভেয়ার মোহাম্মদ ফরিদের বাসা থেকে নগদ ৬০ লাখ টাকার বেশি এবং মোহাম্মদ ফেরদৌসের বাসা থেকে ৬ লাখ টাকার বেশি উদ্ধার করা সম্ভব হলেও র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীদের মতে, এলএ অফিসের সিংহভাগ সার্ভেয়ার, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অফিসাররা নানা কায়দায় জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যার একটি অংশ এলআর ফান্ডেও যায় বলে জেলার শীর্ষ কর্মকর্তাগণের কাছেও কোনো প্রতিকার মিলে না।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, শুনেছি আমার অফিসের এক সার্ভেয়ার বেশকিছু টাকাসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। এটা তার ব্যক্তিগত অপরাধ। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। প্রশাসনিকভাবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এলআর ফান্ড ও তাদের নিত্য অপরাধ সম্পর্কে অভিযোগগুলো সত্য নয় দাবি করে ডিসি আরো বলেন, চেকগুলো কনফারেন্স রুমে উপকারভোগীদের ডেকে হস্তান্তর করা হয়। সে সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কোথাও হয়রানির শিকার হয় কিনা। কিন্তু কেউ অভিযোগ না করলে ব্যবস্থা নেয়া যায় না এবং অপকর্মগুলোও আড়াল থাকে। কারো এমন অপরাধ সামনে এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবো না।