× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নবীগঞ্জে কুর্শি হ্যাচারি কর্মকর্তার দুর্নীতির তদন্ত শুরু

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, নবীগঞ্জ থেকে
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার

নবীগঞ্জে কুর্শি হ্যাচারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। টানা ৯ বছর একই প্রতিষ্ঠানে থেকে দুর্নীতির বলয় গড়েছেন মর্মে মৎস্য অধিদপ্তর ছাড়াও হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। হ্যাচারির পুকুর খনন, বিনা টেন্ডারে গাছ বিক্রি, আসবাবপত্র ও মাছের ওষুধ ক্রয়ের নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় চলছে। সমপ্রতি মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুর রহমানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত টিম হ্যাচারিতে সরজমিন তদন্ত করেন। এ সময় অভিযুক্ত মো. আলম তদন্ত টিমের সামনেই অভিযোগকারীদের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হন। এ নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা সিরাজুর রহমান বলেন, দপ্তরের সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়া হবে। লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, সিলেট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বড় ওই হ্যাচারি। হ্যাচারি থেকে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা মৎস্য অফিসে রেণু ও পোনা মাছ বিক্রি করা হয়।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা মো. আলমের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে নিম্নমানের বেসরকারি হ্যাচারি থেকে রেণু সংগ্রহ, যন্ত্রপাতি ক্রয়, পশুপালন করে বিক্রি, প্রশিক্ষণের নাম করে টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় কুর্শি ইউপির সাবেক মেম্বারসহ বিভিন্ন এলাকার ৯০ জন লোক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাওর এলাকাসহ মৎস্যজীবী, মৎস্যচাষি ও জেলেরা কুর্শি হ্যাচারির রেণু ও পোনা মাছ ক্রয় করেন। মৎস্যজীবী ও মৎস্যচাষিদের উপকারে আসা এ হ্যাচারিতে নিয়োজিত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য দিলবাহার আহমেদ, মো.আব্দুল বাছিত চৌধুরী, মো. মিজান আহমেদ, মো. হাবিবুর রহমান, মামুন মিয়া, জামাল উদ্দিন, আব্দুল কাইয়ুম, লিটন মিয়া, হারুন মিয়া, আক্কাস আলী, সামসু মিয়া, ফারুক মিয়াসহ এলাকার ৯০ জন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে প্রকাশ, হ্যাচারির পুকুর খনন, বিনা টেন্ডারে গাছ বিক্রি, আসবাবপত্র ও মাছের ওষুধ ক্রয়ের নাম করে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে ওই কর্মকর্তা হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। প্রতিবাদ করলে মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলম নিম্নমানের বেসরকারি হ্যাচারি থেকে রেণু সংগ্রহ করে বিক্রি, যন্ত্রপাতি ক্রয় ও পশু পালন করে বিক্রি, সবজি বাগান লিজ দেয়াসহ প্রশিক্ষণের নাম করে বিভিন্ন অর্থবছরের টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় বাহুবল, বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ উপজেলাতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। তদন্তকালে হ্যাচারিতে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪০০ গাছ কেটে নেয়ার ব্যাপারে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি মো. আলম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ ফরেস্ট অফিস গাছগুলো কেটে নেয়। সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পাল বলেন, অভিযুক্ত আলমের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে তা  মন্ত্রণালয় তদন্ত করবে। অনুমতি ব্যতীত কোনো গাছ কেটে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর