× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘এখন এর বেশি বলতে চাই না’

বিনোদন


২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার

গতকাল উদ্‌যাপিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ দিবস ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে মানবজমিন-এর সঙ্গে কথা বলেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও খ্যাতিমান অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন এন আই বুলবুল

নতুন প্রজন্মের মধ্যে ভাষাপ্রেম কেমন দেখেন?
বেশ ভালোই দেখি। ১৯৫২ সালে এদিনে ভাষার জন্য রফিক, সালাম, জব্বার, বরকতরা শহীদ হয়েছেন। এটি কারো অজানা নয়। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম সহজেই এখন ইতিহাস জানতে পারে। কারণ প্রযুক্তির এ সময়ে সারা বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। এর ফলে নতুন প্রজন্মের চোখকে ফাঁকি দেয়া সম্ভব না।
 
বাংলা ভাষা নিয়ে আপনার কিছু কথা শুনতে চাই।
রাষ্ট্রের যেসব ক্ষেত্রে এখনো বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না সেখানে এর প্রয়োগ করা প্রয়োজন। আমাদের বাংলা ভাষাকে উপেক্ষা করে অন্য কোনো ভাষাকে প্রাধান্য দেয়া যাবে না।
এ সময়ে অনেক নাটকে শুদ্ধ বাংলা ভাষার ব্যবহার হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। আপনার মন্তব্য কি?
গল্প ও চরিত্রের প্রয়োজনে যদি আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োজন হয় সেখানে শুদ্ধ বাংলায় নাটকের সংলাপ করতে হবে তা মনে করি না। কেউ চট্টগ্রামের কাহিনী নিয়ে নাটক বানালে সেখানে যদি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োজন হয় তাহলে তা ব্যবহার করা দোষের নয়। কিন্তু অকারণে বাংলা ভাষাকে বিকৃতি করলে সেটি মেনে নেয়া যায় না।
কিছুদিন পর থেকেই শুরু হচ্ছে মুজিব জন্মশতবর্ষ।  একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটিকে কীভাবে দেখছেন?
আমরা জীবিত থাকতেই মুজিবজন্ম শতবর্ষ দেখে যেতে পারছি এটি সত্যি আনন্দের। জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ যে কোনো মুক্তিযোদ্ধার জন্য পরম সুখের বলতে পারি। নতুন প্রজন্ম এবং আমরা বছরব্যাপী এ জন্মশতবর্ষ উদযাপন করবো। সারা বিশ্ব আবারো দেখবে এ দেশের মানুষের অন্তরে অন্তরে মুজিব বাস করেন।
আপনার বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে?
‘অপারেশন সুন্দরবন’ চলচ্চিত্রে কাজ করছি। এরইমধ্যে টানা কয়েক দিন শুটিং করে বুধবার বাসায় ফিরেছি। এটি নির্মাণ করছেন দীপংকর দীপন। এ ছবির গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন। এই ছবি নিয়ে এখন এর বেশি বলতে চাই না।
আপনার অভিনীত বেশ কিছু চলচ্চিত্রের নাম এখনো দর্শকের মুখে মুখে। সে সবের মধ্যে একটি হলো ‘লালসালু’। এ ছবি নিয়ে আজকের এ সময়ে আপনার পর্যালোচনা কি?
‘লালসালু’ একটি সামাজিক সমস্যামূলক চলচ্চিত্র। এর কাহিনী হলো যুগ যুগ ধরে কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও ভীতির সঙ্গে মানুষকে বশে নিয়ে আসা। গ্রামীণ মানুষের ধর্ম বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে অনেকে নানা রকম স্বার্থ উদ্ধার করে। সেই কাহিনীই ফুটে উঠেছে এই চলচ্চিত্রে। তবে আমাদের প্রত্যেক সমাজেই এমন ভালো-মন্দ মানুষের বসবাস আছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর