দীর্ঘ দিন ধরে যৌনকর্মীরা জানাজা থেকে বঞ্চিত। কিন্তু বদলে যেতে শুরু করেছে প্রথা। সম্প্রতি প্রথা ভেঙে তৃতীয়বারের মতো দেশের বৃহত্তম দৌলতদিয়া পতিতালয়ের যৌনকর্মীর জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। পারভীন বেগমের (৪৮) জানাজা সম্পন্ন হয়েছে আজ। বেলা ২টায় দৌলতদিয়া যৌন পল্লী সংলগ্ন কবরস্থানে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে ২রা ফেব্রুয়ারি যৌনকর্মী হামিদা বেগমের জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে হাজির ছিলেন প্রায় দুশ মানুষ। আর চেহলামের দাওয়াতে সাড়া দিয়েছিলেন চারশোরও বেশি লোক। হামিদা বেগমের জানাজা পড়াতে ইমামকে রাজী করাতে ভূমিকা রেখেছিলেন স্থানীয় পুলিশ প্রধান আশিকুর রহমান।
জানাজা পড়ান দৌলতদিয়া রেলস্টেশন মসজিদের ইমাম গোলাম মোস্তফা।
এর পর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ২০ শে ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার। রাত ১০টার দিকে জেলার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের উদ্যোগে রিনা বেগম নামের ওই যৌনকর্মীর জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে তাকে পল্লীর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শুক্রবার রাতে পল্লীর মধ্যে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ের পারভীন বেগম। পরে তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এবার দ্বিতীয়বারের মতো জানাজা পড়ান গোয়ালন্দ ঘাট থানা মসজিদের ইমাম আবু বক্কর সিদ্দিকি। তৃর্তীয় বারের এই জানাজায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শরীফ উজ জামান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আশিকুর রহমান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল তায়াবির, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জলিল ফকিরসহ প্রায় দুই শতাধিক মানুষ।