× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অস্তিত্ব হারাতে বসেছে ঝিনাইদহের জিকে সেচ প্রকল্পের খালগুলো

এক্সক্লুসিভ

আমিনুল ইসলাম লিটন, ঝিনাইদহ থেকে
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার

ঝিনাইদহের জিকে সেচ প্রকল্পের কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ৮১৫ কিলোমিটার খালে বর্তমানে ৭৮৮ জন অবৈধ দখলদার বাস। যারা খালের জায়গা দখল করে তার উপর দোকানপাট, ঘরবাড়ি এমনকি পাড় কেটে চাষাবাদও শুরু করেছেন। বড় বড় ভবনও গড়ে তোলা হয়েছে এই খালের জায়গায়। অনেক স্থানে বোঝার উপায় নেই যে, ইতিপূর্বে এখানে কোনো খাল ছিল।
জমির সঠিক পরিমাণ না মিললেও শুধুমাত্র হরিণাকুণ্ডু আর শৈলকুপা উপজেলায় ৭৮৮ জন দখলদারের সন্ধান পাওয়া গেছে। যার মধ্যে শৈলকুপা উপজেলায় রয়েছে ৬০৬ জন আর হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় রয়েছে ১৮২ জন। অবৈধভাবে দখল করা জমিতে পাকা বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন তারা। অনেকে খাল কেটে জমি সমতল বানিয়ে সেখানে ফসলের চাষাবাদ করছেন।
জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৪ জেলার ১৫টি উপজেলায় কৃষকের জমিতে চাষাবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গঙ্গা-কপোতাক্ষ নামে সেচ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। যার মাধ্যমে বর্তমানে ঝিনাইদহে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ কার্যক্রম চলছে। সরজমিন প্রকল্প এলাকা হরিণাকুণ্ডু ও শৈলকুপা উপজেলা ঘুরে একাধিক কৃষক জানান, ৯০ দশকের পর থেকেই এ সমস্ত খালের গুরুত্ব দিনে দিনে কমতে থাকে। তখন থেকেই অনেক স্থানে ঠিকমতো পানি প্রবাহ হয় না। খালগুলো দীর্ঘসময় সংস্কার না করায় ভরাট হয়ে গেছে। আর এই সুযোগ নিয়ে ভূমিদস্যুরা জমি দখল করতে শুরু করে। হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলাম খালের উপর বসতবাড়ি নির্মাণ করেছেন। যে স্থানটি দেখে বোঝার কোনো উপায় নাই এখানে এক সময় খাল ছিল। একই উপজেলার সাতব্রিজ নামক স্থানে খালের উপর দোকান করেছেন রবিউল ইসলাম। তিনি জানান, দোকানটি বেশ কয়েকদফা বেচাকেনা হয়েছে। সর্বশেষ তিনি এই দোকান নিয়ে সেখানে ব্যবসা করছেন। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও খুরশিদ শরিফ জানান, গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পটি পূর্বের মতো না থাকলেও এখনো চালু রয়েছে। তারা ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দিচ্ছেন। বছরে একর প্রতি মাত্র ৫শ’ টাকায় পানি পাচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকরা ঠিকমতো সেচ বিল দেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সেচ প্রকল্প বাঁচিয়ে রাখতে হলে খালের দখলদার উচ্ছেদ খুবই জরুরি বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, তারা দ্রুত অবৈধ উচ্ছেদের জন্য কাজ করছেন। ইতিমধ্যে বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর