× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অ্যাগারের হ্যাটট্রিকে ‘লজ্জা’ প্রোটিয়াদের

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম হ্যাটট্রিকটি একজন অস্ট্রেলিয়ান বোলারের। আর শুক্রবার রাতে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব দেখালেন অ্যাশটন অ্যাগার। এদিন স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৭ রানের দাপুটে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। আর ৮৯ রানে অলআউট হয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডোবে প্রোটিয়ারা। আন্তর্জাতিক  ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংষ্করণে এটি ১৩তম হ্যাটট্রিক। টি-টোয়েন্টির প্রথম হ্যাটট্রিকটি আসে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে। দক্ষিণ আফ্রিকারই কেপটাউনে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন অজি পেসার ব্রেট লি। টানা তিন বলে তিনি সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা আর অলক কাপালিকে।
আর শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিন বলে উইকেট নিয়ে ১২ বছর পর ব্রেট লি’র পাশে নাম লেখালেন অ্যাশটন অ্যাগার। জোহানেসবার্গে আগে ব্যাটিং শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ পৌঁছে ১৯৬/৬-এ। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ব্যাক্তিগত অর্ধশতক নেই। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন স্টিভেন স্মিথ। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। জবাবে  ঘরের মাঠে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্কোর গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগের রেকর্ডে ২০১৮তে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯৮ রানে অলআউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শুক্রবার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪ ওভারের স্পেলে ২৪ রান খরচায় অ্যাগার একাই নেন ৫ উইকেট। শেষের ৬ উইকেটের ৫টিই তুলে নেন এ অজি বাঁহাতি স্পিনার। ৪০ রানে ৪ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকার আশা হয়ে ক্রিজে ছিলেন ফাফ ডু প্লেসি। সেই ডু প্লেসিকে দিয়ে শুরু অ্যাগারের। ইনিংসের অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে অফ সাইডে তুলে মেরেছিলেন ডু প্লেসি, বাউন্ডারিতে ক্যাচ লুফে নেন কেন রিচার্ডসন। পরের বলে আন্দেলো ফেহলুখায়োকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন অ্যাগার। আর ওভারের ষষ্ঠ বলে ডেল স্টেইনকে সাজঘরে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। স্টেইনের দেয়া ক্যাচ স্লিপে দাঁড়িয়ে দারুণভাবে তালুবন্দী করেন ফিঞ্চ। পরে অ্যাগার তুলে নেন ভ্যান বিলিয়ন ও লুঙ্গি এনগিডির উইকেট।
নিজের অর্জনে জাদেজার অবদান দেখেন অ্যাগার
ব্যাট হাতেও ঝড় তোলেন অ্যাশটন অ্যাগার। সাত নম্বরে খেলতে নেমে ৯ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন তিনি। আর খেলা শেষে ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে অ্যাগারের হাতেই। নিজের অর্জনে ভারতীয় বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার অবদান দেখেন ২৬ বছর বয়সী অ্যাগার। ম্যাচ শেষে অ্যাগার বলেন, ‘এটা খুবই আনন্দের। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিন। আমার কাজ স্টার্ক, কামিন্স, রিচার্ডসন ও জাম্পারা আগেই সহজ করে দিয়েছে। ভারত সিরিজের পর জাদেজার সঙ্গে বেশ ভালো একটা আলোচনা হয়েছে। আমার সবচেয়ে পছন্দের খেলোয়াড় তিনি। আমি তার মতো করেই ক্রিকেট খেলতে চাই। সে একজন রকস্টার। বল পেটাচ্ছে, আগ্রাসী ফিল্ডার এবং বল ঘোরায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর