× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতের সাবেক সাংসদ কৃষ্ণা বসুর জীবনাবসান

দেশ বিদেশ

কলকাতা প্রতিনিধি
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার

ভারতের সাবেক সাংসদ ও বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু নেতাজি পরিবারের বধূ কৃষ্ণা বসু শনিবার সকাল  সোয়া দশটা নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। বেশ কিছুদিন নানা বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সেই অসুস্থতা নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভাইপো চিকিৎসক শিশির বসুর স্ত্রী ছিলেন তিনি। তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যা রেখে গিয়েছেন। তার দুই পুত্র সুমন্ত্র বসু ও সুগত বসু মৃত্যুকালে শয্যাপাশে ছিলেন। এদিন দুপুরে হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে শরৎ বসু রোডের বাড়িতে।
সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে এলগিন রোডে নেতাজি রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। বিকালেই শেষকৃত্য হওয়ার কথা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সমপ্রতি হৃদযন্ত্রের সমস্যার জন্য তাকে বাইপাস সংলগ্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। সকালে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তার দুই পুত্র। তারা হাসপাতালে থাকার সময়ই সকাল সোয়া ১০টা নাগাদ মারা গিয়েছেন তিনি। ১৯৩০-এর ২৬শে ডিসেম্বর অধুনা বাংলাদেশে জন্ম হয়েছিল তার। পরে কলকাতায় এসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। লক্ষ্ণৌর ভাতখণ্ড সংগীত ইনস্টিটিউট থেকে তিনি সংগীত বিশারদ ডিগ্রিও লাভ করেছিলেন।  বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্বামী শিশির বসুর পাশাপাশি কৃষ্ণা বসু একটি মেডিকেল টিমের সদস্য হিসেবে দিনের পর দিন চিকিৎসাসেবা এবং অন্যান্য সহায়তা কাজে যুক্ত ছিলেন। কৃষ্ণা বসু যাদবপুর কেন্দ্র থেকে টানা তিনবার সাংসদ হয়েছিলেন। ১৯৯৬-এ কংগ্রেসের হয়ে প্রথমবারের জন্য সাংসদ হয়েছিলেন। ১৯৯৮ ও ১৯৯৯-এ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন তিনি।  তার পুত্র সুগত বসুও যাদবপুর থেকে তৃণমূলের সাংসদ হয়েছিলেন। রাজনীতিবিদের পাশাপাশি কৃষ্ণা বসু ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ। প্রায় ৪০ বছর  কলকাতার সিটি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর