বরগুনার তালতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসে ঘুষ বাণিজ্য এখন ওপেন সিক্রেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোটার তালিকায় নাম উঠানো, সংশোধন ও স্থান পরিবর্তনসহ সব কাজে ঘুষ না দিলে কাজ হয় না। এতে ভোগান্তিতে এ উপজেলার হাজারও সেবাপ্রার্থী। ভুক্তভোগীরা বিষয়টিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিভিন্ন সেবাপ্রার্থীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন কমিশন অফিসার দুই উপজেলার দ্বায়িত্বে থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অফিসের অফিস সহকারী আঃ রহিম সরকারী সকল নিয়মকে উপেক্ষা করে নিজের মত ও ঘুষ ছাড়া কোনো কাজে হাত দেয়না। যে খানে অনলাইন জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) তালিকায় ১১৫ টাকা থাকলেও সে নিচ্ছে ২৩০ টাকা। ভোটার স্থানান্তরে সরকারী কোন ফি না থাকলেও নিচ্ছেন ২৩০ টাকা।
আর এনআইডি কার্ডে কোনো প্রকার ভুল সংশোধন করতে হলে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা দিতে হয়। তবে অনলাইন কপি আনতে গেলে সেই অফিস সহকারী ২৩০ টাকা নিয়ে আবার শিখিয়ে দিচ্ছেন কেউ জানতে চাইলে বলবেন, ১৪০ টাকা নিয়েছে।
এ ভাবে উপজেলার সেবাপ্রার্থীরা এ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তবে অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে গেলে যে খানে ব্যাংক স্লিপ নিয়ে যাওয়ার কথা সেখানে নগদ টাকায় করিয়ে দেন এই অফিস সহকারী।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসার তরিকুল ইসলাম আমতলী ও তালতলী উপজেলার দায়িত্বে আছেন।
তিনি সপ্তাহে দুইদিন তালতলীতে অফিস করেন। এই সুযোগ গুলো কাজে লাগান তিনি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কাওছার, রাজু, জাহিদ হাসান, শাহিন রানাসহ একাধিক ভুক্তভোগীরা বলেন, টাকা ছাড়া এখানে কোনো প্রকার সেবা নেয়া সম্ভব না।
অফিস সহকারী আঃ রহিম এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন দুই একটা বয়স্ক মানুষের টাকা হাতে নেয়া হয়। বাকিগুলো ব্যাংকের স্লিপের মাধ্যমে নেয়া হয়। আর প্রথম দিকে ২৩০ টাকা করে রাখা হয়েছিল। এখন ১১৫ টাকা করে রাখছি। ভুল সংশোধনের জন্য সমন্বয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন অফিস অফিসের নিয়মেই চলে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীরা আমার কাছে লিখিত অফিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা নির্বাচন অফিসার দিলীপ কুমার হাওলাদার মুঠো ফোনে বলেন, নির্বাচন কমিশন অফিসে কোনো প্রকারে নগদ টাকার লেনদেনের সুযোগ নেই। সব কিছুর বিনিময়ে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে স্লিপ জমা দেয়ার পরে কাজ করা হয়। এমন কোনো অফিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।