১৫ই মার্চ মাঠে গড়াচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ। আর ফিরছে উন্মুক্ত দলবদল পদ্ধতি। গত  কয়েকটি আসরে ‘প্লেয়ার বাই চয়েজ’ বা লটারিতে ক্রিকেটারদের দলে ভেড়ানো হয়। ক্যাটাগরি করে তাদের পারিশ্রমিকও বেঁধে দেয়া হয়েছিল। তবে সবশেষ ঘরোয়া ক্রিকেটে আন্দোলনের পর বিতর্কিত এই নিয়ম পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়েছিল বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শুধু তাই নয়, থাকছে না কোনো ক্রিকেটার পুলও। যে কারণে এই আসরে ক্রিকেটাররা নিজেদের পছন্দ মতো দল বেছে নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে ক্লাবের সঙ্গে তাদের পারিশ্রমিকের বিষয়টিও থাকবে উন্মুক্ত। তবে বড় পরিবর্তন এসেছে বিদেশি ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে। এবার কোনো ক্লাবই দলে টানতে পারবে না বিদেশি কোনো খেলোয়াড়। মূলত দেশি খেলোয়াড়দের সুযোগ বাড়ানোর জন্যই নেয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা। এই প্রসঙ্গে সিসিডিএমের চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমদে বলেন, ‘বিদেশি খেলোয়াড় না থাকাটা আমাদের আরো বেটার অপশন দিচ্ছে। দেখুন বিসিএল, এনসিএলেও কিন্তু আমাদের বিদেশি ক্রিকেটার নেই। সেক্ষেত্রে স্থানীয় ক্রিকেটাররা আরো সুযোগ পাবে।’ তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বিদেশি ক্রিকেটার। কেন এমন সিদ্ধান্ত! কাজী ইনাম জানিয়েছেন এটি পরীক্ষামূলক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘আমরা এই বছর বিদেশি ক্রিকেটার ছাড়া দেখতে চাই যে কিভাবে এটা কাজ করে। এটা ক্লাবদের পক্ষ থেকে ছিল, বোর্ড থেকেও এটা আলাপ হয়েছিল।’ মূলত ক্লাবগুলোই বিদেশি ক্রিকেটার দলে নিতে নারাজ। ওয়ানডে ফরম্যাটে দেশি ক্রিকেটার বের করে করে আনতে এই উদ্যোগকে আপাতত দারুণ বলা যায়। জানা গেছে এরই মধ্যে প্রায় প্রতিটি ক্লাবই দল গুছিয়ে নিয়েছে ফেলেছে। তাই দলবদলটা এখন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। আগামী ৩, ৪ ও ৫ই মার্চ হবে আনুষ্ঠানিক দলবদল। ওই সময় জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপিক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ব্যস্ত থাকবেন। তাই তাদের দলবদলের সুযোগ দিতে সিলেটেও রাখা হবে ব্যবস্থা। বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে সিসিডিএমের পক্ষ থেকে। ওয়ানডে লীগ শেষ হলেই শুরু হবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সুপার লীগের ৬টি দল সেখানে অংশ নিবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।