বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নে একটি গ্রামীণ রাস্তায় ৪ বার নাম পরিবর্তন করে সরকারি বরাদ্দ নিয়ে ২০ লাখ টাকাই ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদ আলী পকেটস্থ করার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ইউনিয়নের বাগহাতা গ্রামের আব্দুর রহমান মিয়ার পুত্র আব্দুর রউফ। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কাবিটা প্রকল্প ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আনন্দ বাজার থেকে সরালিয়া হাটি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ বরাদ্দ হয় ২ লাখ ৯৯ হাজার ১৪৫ টাকা। কর্মসৃজন প্রকল্প থেকে একই রাস্তার নাম পরিবর্তন করে একই অর্থ বছরে আনন্দ বাজার উকিল মিয়ার দোকান থেকে চমকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। একই রাস্তার নাম পরিবর্তন করে পূর্বের বরাদ্দ কর্মসৃজন প্রকল্প ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আনন্দ বাজার হতে সরালিয়া হাটির জামে মসজিদ হয়ে সরালিয়া হাটির পূর্ব মাথা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। একই রাস্তার নাম পরিবর্তন করে চমকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সরালিয়া হাটির জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা পুনঃনির্মাণে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে টিআর প্রকল্পের ৬১ হাজার ৯২৭ টাকা বরাদ্দ হয়। ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে একই রাস্তার ৪ বার নাম পরিবর্তন করে সর্বমোট ২০ লাখ ৮১ হাজার ৭২ টাকা বরাদ্দ নিয়ে ওই রাস্তায় কোন রকম কার্যক্রম না করে সমুদয় টাকা অভিনব কায়দায় আত্মসাৎ করেছেন বানিয়াচং ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এরশাদ আলী। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান এরশাদ আলী জানান তিনি বরাদ্দ পেয়ে ভিন্ন ভিন্ন রাস্তায় কাজ করিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুন খন্দকার জানান, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগে কেউ দোষী হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।